
করোনা রোধে চাই ফিল্ড হাসপাতাল, সাহায্য নিতে হবে বেসরকারি ক্ষেত্রেরও, রাজ্যগুলিকে বলল কেন্দ্র
কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বলা হয়েছে, ফিল্ড হসপিটাল স্থাপনের জন্য রাজ্যগুলি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের সাহায্য নিতে পারে। রাজ্যগুলিকে আরও বেশি সংখ্যায় বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
কোভিড ১৯-এর টেকনোলজি ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আর এস শর্মা বলেন, “কোউইন প্ল্যাটফর্ম এখন ভাল কাজ করছে। ভ্যাকসিনের নতুন পর্বের যাবতীয় জটিলতা সামলাতে তৈরি আছে ওই অ্যাপ।”
কেন্দ্রীয় সরকার থেকে এদিন কোভিড মোকাবিলার জন্য রাজ্যগুলিকে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়, যে হাসপাতালগুলি ভ্যাকসিনের স্টক ও দাম কোউইনে জানিয়েছে, তাদের ওপরে নজর রাখতে হবে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য অনলাইনে কীভাবে রেজিস্টার করবেন, তা জানাতে হবে। টিকাকরণ কেন্দ্রে ভিড় সামলানোর জন্য নানা দফতরকে পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
যাঁরা অ্যাসিম্পটোম্যাটিক এবং যাঁদের সামান্য উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তাঁদের আইসোলেশনে রাখার জন্য কোভিড কেয়ার ফেসিলিটি তৈরি করতে হবে।
গবেষকদের দাবি, মে মাসের ১১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে দেশে ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৩ থেকে ৩৫ লাখে পৌঁছবে। এটাই হবে সর্বোচ্চ। তারপরে এক ধাক্কায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমতে থাকবে। মে মাসের শেষে এসে কোভিড অ্যাকটিভ কেসের হার একেবারেই কমে যাবে।
অঙ্ক কষে বিজ্ঞানীরা ‘সূত্র মডেল’ বের করেছেন। দেশে এখন কোভিড পজিটিভিটি রেট কত, এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর (আর-নম্বর), সংক্রমণের হার, অ্যাকটিভ কেসের হার ইত্যাদি দেখে গণনা করে এই তথ্য সামনে এসেছে বলে দাবি আইআইটি-র বিজ্ঞানীদের। আইআইটি-কানপুরের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মনীন্দ্র আগরওয়াল বলেছেন, দেশে এখনই কোভিড অ্যাকটিভ কেসের হার ১৫ শতাংশের বেশি। ১০ এপ্রিলের মধ্যে ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০ লাখ ছাড়াবে এমন ভাবা হয়েছিল প্রথমে। কিন্তু সেই ডেটা মেলেনি। তবে এখন যে হারে আক্রান্ত রোগী ও সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাতে অনুমান করা হয়েছে মে মাসের মাঝামাঝি গিয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি হবে। তবে তার পর থেকেই সংক্রমণের হার কমতে পারে দেশে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও দ্রুত কমতে শুরু করবে।
গবেষকরা বলছেন, তিনটি প্যারামিটার দেখে এই সিদ্ধান্তে আসা গেছে। প্রথমটা ‘বিটা’ বা ‘কনট্যাক্ট রেট’। আক্রান্ত রোগীরা ঠিক কতজনের সংস্পর্শে আসছে, একজনের থেকে সংক্রমণ কতজনের মধ্যে ও কী হারে ছড়াচ্ছে, সেই তথ্য পর পর সাজিয়ে অঙ্গ কষে একটা ডেটা বেরিয়েছে।