
সেই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা নদিয়ার কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, করোনা সংক্রমনের মধ্যেও নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে তাঁরা নিয়মিত কাজ করেছেন। এর আগেও সঠিক বেতনের দাবিতে জেলাশাসক থেকে শুরু করে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে এবং হাসপাতালে সুপারের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। হাসপাতালে সুপার বারংবার তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই বেতন মিলবে। কিন্তু দীর্ঘ আট মাস কেটে গেলেও এখনও বেতনের দেখা নেই।
পরিবার নিয়ে না খেতে পেয়ে মরার আশঙ্কায় হাসপাতাল সুপারকে ঘিরে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন এরপরই। অবিলম্বে প্রাপ্য বেতন না মিললে আত্মঘাতী হওয়ার হুশিয়ারি দেন তাঁরা।
যদিও হাসপাতালে সুপার সোমনাথ ভট্টাচার্য বলেন, এর আগেও তিনি স্বাস্থ্য দফতরে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু কোন টাকা না আসার কারণে বকেয়া মঞ্জুর করতে পারছেন না।
যদিও বিক্ষোভের জেরে গোটা হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা হাসপাতাল সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি হাসপাতালের পাশেই একটি ধর্নামঞ্চ তৈরি করে সেখানে ধর্নায় বসেন।