
দ্য ওয়াল ব্যুরো : বিরল অস্ত্রোপচারে নজির গড়লেন নদিয়ার কল্যাণী জে. এন. এম হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সদ্যপ্রসূতির ডিম্বাশয় থেকে ১২ কেজি ওজনের টিউমার বাদ দিতে সফল হয়েছেন তাঁরা। এমন দুরূহ অপারেশন এই হাসপাতালে এর আগে হয়নি। কিন্তু অসম্ভবকে সম্ভব করে রোগীর প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের গাইনোকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অভিজিৎ হালদার এবং তাঁর সঙ্গী চিকিৎসকরা। তরুণী প্রসূতিও এখন অনেকটাই সুস্থ বলে জানা গিয়েছে। এমন জটিল অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় আপ্লুত হাসপাতালের মেডিকেল টিম।
অল্পদিন আগেই রানাঘাট হাসপাতালে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ১৯ বছরের এক তরুণী। নর্মাল ডেলিভারি হয়েছিল তাঁর। তার পরও তাঁর মনে হচ্ছিল পেটে কিছু রয়েছে। তারপরই তাঁকে কল্যাণী জে. এন. এম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায়, সদ্যপ্রসূতির ডিম্বাশয়ে রয়েছে বিশাল এক টিউমার। তড়িঘড়ি অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কিন্তু এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার এর আগে হাসপাতালে হয়নি। ফলে খানিক দ্বিধা সত্ত্বেও তরুণীর প্রাণ বাঁচাতে অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি নেন গাইনোকোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. অভিজিৎ হালদার ও তাঁর সঙ্গী চিকিসকরা।
গাইনোকোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. অভিজিৎ হালদার জানান, যন্ত্রণা হওয়ায় তড়িঘড়ি অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তরুণীর একটি ডিম্বাশয়ে সেই বিপুল টিউমার থাকার পাশাপাশি অন্য ডিম্বাশয়েও একটা ডারময়েড সিস্ট ছিল, সেটাও অপারেশন করে বের করে নেওয়া হয়েছে। একটা ডিম্বাশয় সংরক্ষণ করা হয়েছে। যাতে পরবর্তীতে আবার সন্তানধারণ করতে পারেন ওই তরুণী। অস্ত্রোপচারের পর এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি। এমন জটিল অপারেশন সফল হওয়ায় আপ্লুত হাসপাতালের গোটা মেডিকেল টিম। তরুণী বিপন্মুক্ত হওয়ায় খুশি তাঁর পরিবার-পরিজনরাও।