
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাবালিকা ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়াল ডুয়ার্সের (Jalpaiguri) বানারহাট এলাকায়। দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। মেয়েটির ভাই প্রথম দেখে যে তার দিদি সিলিং থেকে ঝুলছে। তিন বছরের সেই শিশুর কান্নায় বাড়ির সকলে ছুটে এসে দেখেন ভয়ঙ্কর দৃশ্য। ঘটনায় দু’জনকে আটক ও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে বানারহাটের সুকান্ত পল্লী এলাকার বাসিন্দা নেহা ভাওয়াল (১৫) নামে দশম শ্রেনির এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ময়নাগুড়ির বাসিন্দা এক ছাত্রের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সরস্বতী পুজোর দিন সম্পর্কে চিড় ধরে। সম্পর্ক জোড়া লাগাতে শুক্রবার দুপুরে বানারহাটে গিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে দ্বাদশ শ্রেনির ওই ছাত্র।
জানা গেছে সেখানে দুজনের মধ্যে ফের কথা-কাটাকাটি হয়। বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরে আসে সেই ছাত্রী। ঘরে সেই সময় তার তিন বছরের ভাই ঘুমিয়ে ছিল। দিদির উপস্থিতি টের পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় শিশুর। দিদি আবার তাকে ঘুম পারিয়ে দেয়।
সন্ধের দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় সিলিং থেকে ঝুলছে দিদির দেহ। পাশের ঘরে থাকা দাদুকে ডেকে আনে তিন বছরের শিশু। সে জানায় বাড়ির বাইরে প্রায় দিনই দিদির সঙ্গে বাড়িতে আসা ওই ছেলেটি ও তার দুই বন্ধুকে দেখতে পেয়েছে সে। পরিবারের অভিযোগ, ভাইয়ের ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নিয়ে ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মেয়েটির ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছেলেটির আরও দুই সঙ্গীকেও আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজয় বোস বলেন, “অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা চাই পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক। দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক।”
বানারহাট থানার আইসি শান্তনু মজুমদার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দ্বাদশ শ্রেনির সেই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে ছাত্রের আরও দুই বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।