
২০০৩ সালে পুরুলিয়ার কোটশিলায় স্থানীয় মহাজন জগদীশ মাহাতো কে হাড়িকাঠে বলি দিয়েছিল মাওবাদীরা। ওই বছরই মাওবাদীদের পেতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল বান্দোয়ান থানার ওসি নীলমাধব দাসের। পরপরই গুলি করে মারা হয় সিপিএমের জোনাল কমিটির সদস্য মহেন্দ্র মাহাতোকে। ২০০৫ এর ৩১শে ডিসেম্বর খুন হন সিপিএম নেতা রবি কর ও তাঁর স্ত্রী আনন্দময়ী কর।
২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছরে ২৪ জন খুন হয়েছিলেন বলরামপুরে। এদের মধ্যে ২১ জন সিপিএম এর নেতা কর্মী। বাকি তিনজন তৃণমূলের। ২০০৭ এর পর মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সমস্ত রাজনৈতিক দল একই ছাতার নিচে এলে বান্দোয়ানে কিছুটা পিছু হটে তারা। কিন্তু আরও বেশি করে সক্রিয় হয় অন্যান্য এলাকাগুলিতে। যে গ্রামে শনিবার বিজেপি কর্মী দুলাল কুমারের দেহ মেলে, সেই ডাভা গোপালডি গ্রামেই ২০০৯ সালে মাওবাদীরা গুলি করে খুন করেছিল সিপিএমের লোকাল কমিটির সদস্য শশধর কুমারকে। শনিবার বিজেপি কর্মী দুলাল কুমারকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনদিন আগে ত্রিলোচন মাহাতো খুনেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদলেরই বিরুদ্ধে।
উন্নয়নের অনেকখানিই এখানে মুখে মুখে। জীবনধারণের ন্যূনতম সুযোগটুকুও বহু গ্রামে অমিল। রক্ত ঝরা শুরু হলে আবার রাতের ঘুমটুকুও তো যাবে, এই আশঙ্কাই তাই তাড়া করছে বলরামপুরের মানুষকে।