
জানা গেছে মঙ্গলবার সকালে ডানকুনি থেকে খড়গপুর যাওয়ার পথে ডানকুনি ও বেলানগরের মাঝে ট্রেন থেকে পড়ে জখম হন চন্দন প্রচন্ড (৫৫) নামের ওই ব্যক্তি। মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা টাউনের বাসিন্দা তিনি। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় আরজি করে। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
বাংলায় লোকাল ট্রেনে বিধি বেঁধে দিয়েছে নবান্ন। বলা হয়েছে লোকাল ট্রেন চলবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত। কিন্তু এই কড়াকড়ির প্রথম দিন স্টেশনে স্টেশনে কিংবা ট্রেনের কামড়ায় যে ছবি দেখা গেছে তা ভয়াবহ। থিকথিকে ভিড়ে তিল ধারণেরও জায়গা ছিল না কোথাও। বিশেষত সন্ধ্যা নাগাদ সাতটায় ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল অফিসযাত্রীরা নাজেহাল হয়েছিলেন। পরে পরিস্থিতি বুঝে সময়সীমা রাত ১০টা পর্যন্ত করে দেওয়া হয়। তাতেও ভিড় কমানো যায়নি।
গতকালই ডানকুনিতে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন চন্দন। আজ সকালে বাড়ি ফেরার জন্য ডানকুনি থেকে ট্রেন ধরেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে ট্রেন এলে তাতে উঠে পড়েন। প্রচণ্ড ভিড় থাকায় ট্রেনের দরজাতে ঝুলতে ঝুলতে যাওয়ার সময় ধাক্কা লেগে পড়ে যান তিনি! এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকজন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে সরকারি নির্দেশিকার পরেও এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।