
কাদেরের দাবি, ‘করোনা কোনও ভাইরাস ঘটিত রোগ নয়। এটা আল্লাহর গজব। তাই মাদুলি পরলেই এহেন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।’ তাঁর আরও দাবি, ‘মাদুলি, তেলপড়া, জলপড়া দেওয়া হচ্ছে। তাতেই কাজ হচ্ছে। সবাই সুস্থ থাকছে।’ সেই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘সন্তানের করোনা হলে কি তাকে বাঁচানোর জন্য ১৫ হাজার টাকা দিতে পারবেন না?’
এ খবর পাঁচ কান হতেই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন জেলার চিকিৎসক মহল এবং বিজ্ঞান মঞ্চ। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সুব্রত কুমার মাইতির বক্তব্য, ‘অতিমারির হাত থেকে বাঁচতে মাদুলি তাবিজ কোনও পথ হতে পারে না। যারা এগুলো দিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে পয়সা উপার্জন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।’
মাদুলিবাবার এ হেন কারবারের খবর ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসতেই কাদেরের সন্ধানে নামে সুতাহাটা থানার পুলিশ। এরপর সোমবার সকাল থেকেই একেবারে ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছেন তিনি। পরিবারের দাবি, উনি বিশেষ কাজে বাইরে গিয়েছেন। তবে কোথায় গিয়েছেন, তা কেউই জানেন না।