
মমতা তাঁর দলের সাংসদদের বৈঠকে ডাকবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু তৃণমূলের একাংশের মধ্যে এখন যা গৃহদাহের পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে এই বৈঠক নিয়েও কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তবে লোকসভার সাংসদ তথা তৃণমূল মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্য ওয়ালকে জানিয়েছেন, সংসদের অধিবেশন শুরু হবে। তার আগে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লোকসভায় ও রাজ্যসভায় তৃণমূলের ভূমিকা এখন জাতীয় রাজনীতিতে বড় আলোচনার বিষয়ে। শেষ অধিবেশনে দেখা গিয়েছিল যে কংগ্রেসের সঙ্গে ঠিক আগের মতো বনিবনা হচ্ছে না জোড়া ফুলের। অনেকের মতে, ব্যাপারটা ‘তুই বড় না মুই বড়’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আবার তৃণমূল ঠারেঠোরে বোঝাতে চেয়েছে, কোনও একটি দলের দাদাগিরি মেনে তারা চলবে না। বিরোধী শিবিরে সকলের সমান সম্মান ও মর্যাদা থাকা উচিত।
সেদিক থেকে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে তৃণমূলের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। এ ব্যাপারে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কংগ্রেস কারও মুখাপেক্ষী নয়। এআইসিসির তরফে আগেও বলা হয়েছে, সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ দলের উচিত সমষ্ঠিগতভাবে কেন্দ্রে ব্যর্থ, সংকীর্ণ ও সাম্প্রদায়িক মোদী সরকারের বিরোধিতা করা। কেউ যদি এজেন্সির ভয়ে গুটিয়ে অন্যথা করে তা হলে বিজেপিরই সুবিধা হবে। এর বাইরে কিছু বলার নেই”