
বাজারে আলু-পেঁয়াজের দাম কেন বেশি তা নিয়ে গতকাল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ একটা ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছিলেন। হলদিয়ায় এক সভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের নেতারা কাটমানি নিচ্ছেন বলেই আলু-পেঁয়াজেরও দাম বাড়ছে। তখনই আপত্তি করেছিল তৃণমূল। বলেছিল, মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন বিজেপি সভাপতি। তার পর সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ বার আপনি সামলান। মানুষ বিপাকে পড়ছে।
রাজ্যের বক্তব্য, সম্প্রতি আইনে সংশোধন এনে সরকার আলু, পেঁয়াজকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। তার পর থেকেই মজুত শুরু হয়েছে। হাওড়ার এক আলু ব্যবসায়ী কথায়, জ্যোতি আলু বাইরে যাচ্ছে। তার দাম কমছে না। আর চন্দ্রমুখীর যে সরবরাহ বাজারে রয়েছে তা যথেষ্ট নয়। প্রচুর পরিমাণে চন্দ্রমুখী আলু মজুত করে রাখা হয়ে, দাম নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সোমবার জ্যোতি আলুর পাইকারি দাম ছিল ১৭৭০ টাকা বস্তা। অর্থাৎ সাড়ে ৩৫ টাকা কেজি। চন্দ্রমুখী আলুর বস্তা ছিল ১৮৪০ টাকা। অর্থাৎ ৩৭ টাকা কেজি।
প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৪-১৫ সালে একবার এ ধরনের অবস্থা হয়েছিল। কিন্তু তখন রাজ্য সরকার দাম বেঁধে রাখতে পেরেছিল। নতুন আইনের ফলে রাজ্যের হাতে কোনও ক্ষমতা নেই, সবই কেন্দ্রের হাতে। তাড়াহুড়ো করে এই আইন পাশ করানোর সময়েই আমরা সতর্ক করেছিলাম। আমাদের সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এখন হয় কেন্দ্র দাম নিয়ন্ত্রণ করুক বা রাজ্যের হাতে সেই ক্ষমতা দিক।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের এক অফিসার অবশ্য বলেছেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম লাগামহীন ভাবে বাড়লে রাজ্যেরও দাম নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার রয়েছে। আইনে সে কথা বলাও রয়েছে। রাজ্য চাইলে তার প্রয়োগ করতেই পারে।