
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভবানীপুরের নির্বাচন তখনও ঘোষণা হয়নি, মাস আড়াই আগে নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একদিন বলেছিলেন, বাংলায় এখন করোনা নেই। উপনির্বাচনটা তো করেই নিতে পারে কমিশন। উপনির্বাচন হয়ে গেলে আমরা আমাদের যা ভোট আছে, করে নেব। মুখ্যমন্ত্রী বলতে চেয়েছিলেন, রাজ্যের যে বাকি উপনির্বাচনগুলো আছে, তা হয়ে গেলেই বকেয়া পুরভোট (election) হবে।
উৎসবের মুখে বাংলাকে ভাসিয়ে দিয়েছে ‘বন্ধু’ ঝাড়খণ্ড, আক্ষেপ মমতার
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন সেই একই কথা। বলেছেন, উপনির্বাচন মিটলে বাকি ভোট হবে রাজ্যে। অর্থাৎ পুরভোট হবে উপনির্বাচনের পরই। ভবানীপুরের উপনির্বাচন হয়ে গেছে। বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে আগামী ৩০ অক্টোবর। তারপরেই হবে পুরভোট।
রাজ্যের একাধিক কর্পোরেশন এবং প্রায় শতাধিক পুরসভায় ভোট বকেয়া রয়েছে। কোভিডের কারণে ২০২০ সালে সেই ভোট হয়নি। সেই পুরসভা আর কর্পোরেশনগুলিতে প্রশাসকমণ্ডলি নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কোনও নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে এমন চলতে পারে না। ফলে এ নিয়ে বিরোধীদের তরফে আপত্তি ছিলই। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন মমতা জানিয়ে দিলেন, ৩০ অক্টোবরের পরেই পুরসভা ভোট হবে। এর মধ্যে আছে কলকাতা হাওড়া শিলিগুড়ি চন্দননগরের মতো কর্পোরেশন। হতে পারে চলতি বছরেই শেষের দিকেই আয়োজন করা হচ্ছে পুরভোট। কিংবা জানুয়ারি অবধি তা গড়াচ্ছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কোনও মাসের কথা বলেননি।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এবছর পুরভোট নাও হতে পারে। কারণ নভেম্বরে সামার ভ্যাকেশন রয়েছে। আর তার ফলে ভোট না হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। যদি তা হয়, তবে কমিশন সূত্রে খবর, পুরভোট হবে আগামী বছরের শুরুর দিকে।
যদিও এ নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, করোনা আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছুতো। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি পুরভোট করিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি। ২০১৮ সালে হাওড়া কর্পোরেশনে ভোটের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল, তখন তো করোনা ছিল না, তখন কেন ভোট হয়নি? প্রশ্ন তোলে বিরোধীদের কেউ কেউ।