
মহারাষ্ট্রে করোনার তৃতীয় ঢেউ হয়তো ২-৪ সপ্তাহেই, হুঁশিয়ারি টাস্ক ফোর্সের, তবে রেহাই পেতে পারে বাচ্চারা
সাপ্তাহিক পজিটিভিটি ও অক্সিজেন বেডে রোগী ভর্তি থাকার মতো সূচকের ভিত্তিতে গত ২ সপ্তাহে পাঁচ দফায় আনলক প্রক্রিয়া চলছে মহারাষ্ট্রে। গত তিনদিনে প্রকাশ্য জায়গায় যে পরিমাণ ভিড় চোখে পড়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই থার্ড ওয়েভের ভয় করছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। দ্বিতীয় ঢেউয়ে যত সংক্রমণ নথিভুক্ত হয়েছে, তৃতীয় ঢেউয়ে তার দ্বিগুণ হতে পারে, অ্যাকটিভ কেস পৌঁছতে পারে ৮ লাখে।
বৈঠকে জনৈক সরকারি অফিসার বলেছেন, মহারাষ্ট্রে তৃতীয় ঢেউয়ের সূচনা হতে পারে ডেলটা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট থেকে। দ্বিগুণ হারে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গত বছর প্রথম ধাক্কায় নথিভুক্ত হয়েছিল ১৯ লক্ষ কেস। এ বছর সেকেন্ড ওয়েভে নথিভুক্ত সংক্রমণ সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ।
টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডঃ শশাঙ্ক জোশী বলেছেন, দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হওয়ার ৪ সপ্তাহে মধ্যেই থার্ড ওয়েভের সম্মুখীন ব্রিটেন। সতর্ক, সাবধানী না হলে, কোভিড বিধিসম্মত ব্যবহার না মেনে চললে আমরাও একই পরিস্থিতিতে পড়তে পারি। তবে জোশী জানান, বাচ্চাদের তেমন কিছু বিপদ হয়তো হবে না, কেননা সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত অংশের বাচ্চারা ভাইরাসের কবলে পড়বে কম। যদিও প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো এবারও মোট সংক্রমণ কেসের ১০ শতাংশ হতে পারে বাচ্চা বা অল্পবয়সিরা। বলেন, বাচ্চারা আগামী ঢেউয়ের টার্গেট হবে বলে মনে হয় না। আরেক প্রশাসনিক পদস্থ কর্তা, যিনি বৈঠকে ছিলেন, বলেছেন, বেলাগাম জনসমাগম, মাস্ক পরা, অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরনোর মতো কোভিড ১৯ বিধি মানায় উদাসীনতা উদ্বেগের ব্যাপার। এমনকী মুম্বইয়ে নির্দিষ্ট কিছু সময় বাদ দিলে সারাদিন অবাধে লোকজন রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এদিকে মহারাষ্ট্রের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল, রাজ্যে করোনায় মৃতের আসল সংখ্যা সামনে আসেনি। হিসাবে ভুল সংশোধন করে বাড়তি মৃত্যুর সংখ্যা যোগ করে দেখা যাচ্ছে, জুনে মৃত্যু সংখ্যা এখন ১৪৫৯২।