
সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে মদন মিত্র নানান কথা বলেছেন। তিনি এও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নেতা। হনুমানের বুক চিরলে যেমন রাম আর সীতার নাম পাওয়া যায় তেমন তাঁর বুক চিরলে মমতা আর অভিষেক। তবে মদনের সরাসরি প্রশ্ন পার্থকে, দলে কোথায় কাকে বলব?
মদনের কথায়, “মহাসচিব মশাই, আপনি বলছেন দলে বলতে। কিন্তু দলে কাকে কোথায় কবে কখন বলা যাবে?” রবিবারই দ্য ওয়াল-এর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, সাত মাস হয়ে গেল তৃণমূল ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এখনও নতুন বাড়ির ভিত কাটা হয়নি। আগাছা ভরা মাঠ হয়ে রয়েছে জায়গাটি। মদনের বক্তব্য, দল মানে কী? যাঁরা কিছু জানাবেন তাঁরা কোথায় জানাবেন? সে ব্যাপারে তো কিছু বলা হচ্ছে না।
নিজের কায়দাতেই তুড়ি মেরে মদনকে বলতে শোনা যায়, “কেউ যদি ভাবেন ধমকে চমকে সাইজ করে দেব, তা কিন্তু হবে না।”
মদন এও বলেছেন, অভিষেকের অফিসে গেলে অন্য অনেক লোক থাকেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দেখা করা যায় না। তবে এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখাতে চেয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। মদন সিপিএমের উদাহরণ দিয়ে বলেন, কলকাতার নেতারা কি দিল্লি গিয়ে চাইলেই সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাট, বৃন্দা কারাটের সঙ্গে দেখা করতে পারেন? তৃণমূলও তো এখন বড় পার্টি। অভিষেক তার নেতা। সেইসঙ্গে মদনের সংযোজন, সিপিএম তো তবু চারটে বুড়োকে বসিয়ে রাখে।
অনেকের মতে, তৃণমূল বিতর্ক চাপা দিতে শৃঙ্খলারক্ষার কড়া বার্তা দিয়েছে। তবে মদন স্পষ্ট করে দিয়েছেন , সেই বন্দোবস্তই দলে নেই। এসব আসলে ধমকে চমকে দমিয়ে দেওয়া।