
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুর্গাপুরের অন্ডালের বাসিন্দা রামচন্দ্র প্রসাদ। পেশায় তিনি টোটো চালক। কয়েকদিন আগে তাঁর হার্ট সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই টোটো চালানো সম্ভব নয়। ফলে সংসারের দায়ভার এসে পড়েছে রামচন্দ্রের সাত বছরের ছেলে আশুতোষের। তাই পড়াশোনা ছেড়ে এখন টোটো চালিয়ে সংসারের খরচ জোগাচ্ছে ওই খুদে।
প্রতিদিন না হলেও, সপ্তাহে অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন বাবার টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে। দুশো-তিনশো টাকা উপার্জন হওয়ার পর বাড়ি ফিরে আসে সে। আশুতোষ জানিয়েছে, স্কুল খুলে গিয়েছে। বাবার শরীর খারাপ, তাই সংসার চালাতে তাকে টোটো চালাতে হচ্ছে। বাবা সুস্থ হলে সে স্কুলে যাবে।
আশুতোষ বলেন, “বাবার হার্টের সমস্যা। আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। কখনও কখনও টোটো চালালে যে রোজগার হয়, তাতে সংসার চলে।”
আশুতোষের মা জানান, ছেলেকে তিনি পড়াতে চান। কিন্তু স্বামীর এমন অবস্থায় ছোট্টো ছেলেকেই টোটো চালাতে হচ্ছে। ছেলে যেদিন টোটো চালায় সেদিন তিনিও পাশে বসে থাকেন। কয়েকটা প্যাসেঞ্জার পেলে সেই দিনের মত সংসার খরচ উঠে যায়। “খুব খারাপ লাগে আমাদের। কিন্তু করারই বা কী আছে। রেশনে খাবার পাই কিছু। বাকি টোটো থেকে যা ওঠে।”– বলেন তিনি
পঞ্চম শ্রেণি মেধাবী ছাত্রকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে দেখে এগিয়ে এসেছেন এলাকার এক সমাজসেবী সঞ্জয় সিনহা। ওই ছাত্রের বাবার চিকিৎসার খরচ উঠাতে সাহায্য করবেন। এছাড়া ছোট্ট আশুতোষের সারা জীবনের পড়াশোনার দায়িত্ব তাঁরা নেবেন।
টোটো চালাতে চালাতে বাবাকে সুস্থ করে স্কুলে ফেরার স্বপ্ন দেখে ছোট্ট আশুতোষ।