
পাশাপাশি চড়চড়িয়ে বাড়ছে এ রাজ্যের সংক্রমণের গতি। মৃতের সংখ্যাও দৈনিক অনেকটাই বাড়ছে। এমনই পরিস্থিতিতে সুখবর এল। রাজ্য সরকার টিকাকরণের জন্য কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড মিলিয়ে যে কয়েক লক্ষ টিকার অর্ডার দিয়েছিল, তার মধ্যে আজ রবিবারই ১ লক্ষ কোভ্যাক্সিনের ডোজ এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। আগামী কাল, সোমবার আরও সাড়ে ৩ লাখ কোভিশিল্ড টিকার ডোজ রাজ্যে আসবে বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, আজ রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় টিকা। এর পরে তা নিয়ে যাওয়া হয় বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে। কাল, সোমবার বিকেল ৩টে ৪০ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবে টিকা। এর পরে আসবে আরও টিকা, কারণ মোট ১৪ লাখ কোভিশিল্ডের বরাত দিয়েছে রাজ্য সরকার।
তথ্য বলছে, দেশে এখন দৈনিক প্রায় ২৫ লক্ষ টিকা উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই চাহিদা তার চেয়ে অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতক্ষণ না প্রতিষেধকের বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হবে অথবা দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি অন্য কোনও প্রতিষেধক বাজারে আসবে, কিংবা বাইরে থেকে অন্য কোনও টিকা আমদানি করা হবে, ততক্ষণ এই ঘাটতি চলতেই থাকবে।
বস্তুত, গত মাস থেকেই দেশজুড়ে করোনা টিকার জোগান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পর্যান্ত টিকা না থাকার কারণে বিভিন্ন রাজ্যে টিকাকরণ থমকে যাচ্ছে মাঝেমাঝেই। গতকাল, শনিবার কোভ্যাক্সিন না পেয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কার্যত বিক্ষোভ দেখান কিছু মানুষ। এমনই পরিস্থিতিতে কয়েক লক্ষ টিকা রাজ্যে এলে সমস্যার সমাধান হবে কিছুটা।