
ইতিমধ্যেই পরিকাঠামোর অভাবে কমিটি উপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে পারছে না বলে একাধিকবার হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। পাঁচ বছর আগে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, শুধু এমপিএস নয়, সারদা, রোজভ্যালি-সহ সব চিটফান্ডের প্রতারিতদেরই টাকা ফেরাতে কাজ করবে বিচারপতি তালুকদার কমিটি। কিন্তু পরে এ নিয়ে আর অগ্রগতি হয়নি বলে সূত্রের খবর।
সারদায় প্রতারিতদের টাকা ফেরাতে প্রথম কমিশন গড়েছিল রাজ্য সরকার। শ্যামল সেন কমিশনের দাখিল করা চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনো কেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পড়ে রয়েছে সে প্রশ্নও তুলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।
পাশাপাশি শ্যামল সেন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যে ১৩৮ কোটি টাকা ছিল এবং যা রাজ্য তার প্রয়োজনে ব্যবহার করেছে সেটা কেন সাধারণ আমানতকারীদের দেওয়ায় যাবে না তাও জানতে চায় আদালত। শ্যামল সেন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ৫০ কোটি টাকার মতো ফেরানো হয় ছোট আমানতকারীদের।
এছাড়াও বিভিন্ন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআইয়ের হতে যে পরিমাণ টাকা আছে তাও এক সদস্যের কমিটির কাছে পাঠানো যায় কিনা সে প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতিরা। ২৯ জুলাই পরবর্তী শুনানি।