
কানহাইয়া নিজের ‘ভুল’ শুধরে নিলেন, পটাশপুরে একযোগে আক্রমণ মমতা-মোদীকে
ব্যস! তাতেই যেন ক্ষোভের দাবানল তৈরি হয়েছিল বামেদের মধ্যে। কিন্তু একুশের ভোটের প্রচারে বাংলায় এসে যেন ভুল শুধরে নিলেন বিহারের এই ভূমিপুত্র।
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে তরুণ সিপিআই প্রার্থী সৈকত গিরির সমর্থনে প্রচারে আসেন কানহাইয়া। সেখানে তিনি বলেন, “বিজেপিকে হারাতে হলে তৃণমূলকে ভোট দিলে হবে না। কারণ বিজেপির বিরুদ্ধে তাকেই ভোট দিতে হবে, যে ওই দলটার সামনে মাথা ঝোঁকাবে না। আর তৃণমূল তো মাথা বন্ধক দিয়ে বসে রয়েছে।”
কানহাইয়া আরও বলেন, “বিজেপিকে একটা দল হিসেবে দেখলে ভুল হবে। এরা কেবল দল নয়। একটা মতাদর্শ। যা সারা ভারতে বিভাজন করতে চায়। মেদিনীপুরের মাটি ক্ষুদিরামের মাটিতে। এই মাটিতে যেন নাথুরামের পার্টি মাথা তুলতে না পারে।”
শুধু তো আর তৃণমূলের নেতারা যে বিজেপিতে যাচ্ছেন তা নয়। বামেদের অনেক নেতানেত্রীই শামিল হয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। তার মধ্যে যেমন সিপিএমের তাপসী মণ্ডল, শঙ্কর ঘোষ, রিঙ্কু নস্কররা রয়েছেন তেমন কানহাইয়ার দল সিপিআইয়ের অশোক দিন্দাও রয়েছেন। ক্রিকেটার অশোক দিন্দাকে ময়না থেকে বিজেপি টিকিট দিলেও সিপিআইয়ের বিদায়ী বিধায়ককে দেয়নি।
এদিন নিজের ‘কমরেড’দের গেরুয়া যোগ নিয়েও আক্ষেপ ঝরে পড়ে কানহাইয়ার গলায়। তাঁর কথায়, “এক সময়ে কমরেড থাকা একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি বিজেপিতে গেলেন কেন? আমায় বলল, তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে। কিন্তু ওঁরা বুঝছেন না, তৃণমূল আর বিজেপির কোনও ফারাক নেই। দুটোই এক।”
কয়েকদিন আগেই কানহাইয়াকে নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। তিনি নাকি নীতীশ কুমারের এক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং বৈঠক করেছেন। তারপরেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে, তাহলে কি কানহাইয়াও বাম থেকে রামের পথে? পরের দিনই সিপিআই কেন্দ্রীয় কমিটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, এই জল্পনা ভিত্তিহীন। কানহাইয়া এক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন ঠিকই কিন্তু তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিহারের এক সিপিআই বিধায়ক। তাঁর বিধানসভা এলাকার দাবিদাওয়া নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তবে এদিন চেনা মেজাজেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কানহাইয়া। সঙ্গে মমতার বিরুদ্ধে তাঁর সুর ছিল চড়া। এদিন পটাশপুরের সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কানহাইয়ায় সঙ্গেই এদিন এই সভায় বক্তৃতা দেন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাসও।