
কালিম্পঙের সবুজ দ্বীপ গীতখোলা, নিঃশব্দে সেজেছে প্রকৃতি, দেখুন ভিডিও
কালিম্পং জেলার গরুবাথানের ব্লকের গীতখোলা যেন রাজাবিহীন এক সবুজ দ্বীপের কাহিনি।
উনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সাহেবরা এখানকার জঙ্গল থেকে গাছ কেটে নিয়ে যেত আসবাব তৈরির জন্য। ঘোড়া বা টাট্টুর পিঠে চেপে, দুর্গম পথ পেরিয়ে গাছগুলো পৌঁছত নানা জায়গায়। আসা-যাওয়ার দুর্গম পথ একটু সুগম করতে ১৯৩৪ সালে সেবকের করোনেশন ব্রিজের আদলে একটি ব্রিজ ও একটি লোহার ব্রিজও তৈরি করে ব্রিটিশ সাহেবরা। এর পরে যেন কাঠ কেটে নিয়ে যাওয়া আরও বেড়ে যায়।
তবে বন থেকে গাছ কেটে নিলেও প্রকৃতি আজও সুন্দর। এখানকার পাহাড়ি পথে এই গীতখোলা নদী যেন আসে নিজের সাজ বদল করে নামও পরিবর্তন করতে। তাই প্রথমে ডুডখোলা, তার পর গীত খোলা এবং সমতলে মিশে হয়ে যায় ঘিশ খোলা।
দেখুন কী বলছেন সকলে।
অপরূপ, সুসজ্জিত সবুজ আর একাধিক ঝর্ণার সমারোহ নিঃশব্দে হাতছানি দেয় প্রকৃতিপ্রেমীদের। নিঃশব্দ বলেই বোধহয় এখনও এই জায়গার ছোঁওয়া পর্যটক মহলে বা পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের কাছে পৌঁছয়নি। গুটিকয়েক মানুষ আসতে শুরু করেছেন আর উপভোগ করছেন সবুজে ঘেরা গীতখোলাকে। অনেকে আবার সেখানে বেড়াতে গিয়ে নিজেরাই তাঁবু খাটিয়ে থাকছেন।
এই এলাকায় বাস করেন গুটি কয়েক স্থানীয় মানুষ। তাঁরা কৃষিকাজ করেই জীবন যাপন করেন। তাঁদের উৎপন্ন ফসলের মধ্যে রয়েছে এলাচ, আদা ও শাকসবজি। অতিথি বা পর্যটকরা এলে সাহায্য করেন তাঁরা। একই সঙ্গে তাঁদের কড়া নজর, প্রকৃতির এই নিষ্কলুষ সৌন্দর্য যেন ক্ষুণ্ণ না হয়।