
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে (sandhya mukherjee) পদ্ম সম্মান(padma award) দিতে চেয়ে অপমান (insult) করেছে কেন্দ্র সরকার (centre), মনে করছেন রাজ্যের বিশিষ্টদের কয়েকজন (intellectuals)। তাই বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন কবীর সুমন, আবুল বাশার, শুভাপ্রসন্ন প্রমুখ।
কবীর সুমন (kabir suman)বলেন, ‘খুব খারাপ লাগছে। বহু কিংবদন্তি সুরকারের সুরে গান গেয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। অনেক শিল্পীই পদ্মভূষণ সম্মান পেয়েছেন। তাঁদের থেকে অনেক ওপরে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গান বাংলার প্রাণ। তাঁকে পদ্মশ্রী দিতে চেয়ে অপমান করল কেন্দ্র সরকার।’
আবুল বাশার বলেছেন, ‘বাঙালিদের উপরে বিদ্বেষ রয়েছে কেন্দ্র সরকারের। প্রকৃত প্রতিভাকে অসম্মান করেছে কেন্দ্র। বাঙালির রোমান্স শুরু বঙ্কিমচন্দ্রের মধ্য দিয়ে। বাঙালির রোমান্স শুরু সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গানের মধ্য দিয়ে।’ বিশিষ্টদের কথায়, ‘শুধু সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অপমান করা নয়, গোটা বাংলাকে অপমান করেছে কেন্দ্র।’
উল্লেখ্য, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রখ্যাত শিল্পী গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তীর ছাত্রী। পরে গান শিখেছেন বড়ে গুলাম আলি খাঁর কাছে। উল্লেখ্য,পঞ্চাশের দশকে উত্তম-সুচিত্রা ছবিতে সুচিত্রা সেনের লিপে তাঁর গান ছিল তুমুল জনপ্রিয়। তাঁর স্বামী প্রয়াত গীতিকার শ্যামল গুপ্ত।
বয়স নব্বই পেরিয়ে গিয়েছে শিল্পীর। একাধিক ভাষায় গেয়েছেন অজস্র গান। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঙালি শুনে আসছে তাঁর গান। বহু বছর আগে একবার তিনি ‘গীতশ্রী’ পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে যায় ‘গীতশ্রী’ শব্দটি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া বহু পুরস্কারই পেয়েছেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও পুরস্কার পাননি। পদ্ম সম্মান দেওয়ার আগে অনুমতি নেওয়া হয়। শিল্পীর লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে ফোন আসে দিল্লির তরফে। জানানো হয় তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে সম্মানিত করা হবে। স্পষ্টভাবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি প্রত্যাখ্যান করছেন।