Latest News

মিড ডে মিল খেয়ে ডোবায় বাসন ধুতে চলল পড়ুয়ারা! ঝাড়গ্রামের স্কুলে ভেঙে পড়ছে ক্লাসঘর

দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: স্কুলে (Jhargram School) দেওয়া মিড ডে মিলের ভাত খেয়ে থালা-বাটি ধুতে আলপথ ধরে যেতে হয় কয়েকশো গজ দূরে। সেখানেই ডোবা। মাঠের আলপথে সাপের ভয়, ভরা ডোবায় পড়ে যাওয়ার ভয়, এমন আরও কতই না আতঙ্ক পিছু তাড়া করে প্রণব-কেশব-উমাদের (Students face Danger)। কিন্তু উপায় কী!

যে স্কুলে বসে রোজের পড়াশোনা করতে হয় তাদের, তারও হাল তথৈবচ। জরাজীর্ণ ক্লাসঘরগুলি শেষ কবে সংস্কার হয়েছিল, তা বলতে পারেননি কেউ। বার কয়েক ক্লাসে এসে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে মোলাকাত হয়েছে খুদে পড়ুয়াদের। তখনকার মতো হইচই হলেও থিতিয়ে গেছে খানিক পরেই।

ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর ২ ব্লকের ভেলাইডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেচন্দা গ্রাম। এই গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। রয়েছে একটি জুনিয়র হাইস্কুলও। দু’টি স্কুলে ২০০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী। পরিস্থিতির সঙ্গে এভাবেই লড়াই করে প্রতিদিনের পড়াশোনা চালাতে হচ্ছে তাদের। স্কুলে পানীয় জলের জন্য নলকূপ থাকলেও তাতে জল পড়ে না। ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি থেকে জল নিয়ে আসতে হয়। মিড ডে মিলের রান্না হয় দু-কিলোমিটার দূরের নদী থেকে জল এনে। আর মিড ডে মিলের বাসন ধোয়া হয় ডোবার নোংরা জলে।

অভিভাবকরা জানান, যেভাবে স্কুল দু’টি চলছে, যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার বলা সত্বেও স্কুল দু’টির সংস্কার হয়নি। সারানো হয়নি পানীয় জলের কলও। তাই ওই দু’টি স্কুলে ছেলেমেয়েকে পাঠিয়ে বিপদের মুখে ঠেলে দেবেন কিনা সেটাই অনেকের নিত্যদিনের চিন্তা। অন্যদিকে দু’টি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও জানান, জলের জন্য যে কোনও মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মিডডে মিল।

শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতিতে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়, ঠিক সেই সময়ই সামনে এল জঙ্গলমহলের দু’টি স্কুলের এমনই ছবি। বিনপুর দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাহালা হাঁসদা ওই দুটি স্কুলের এমন অব্যবস্থার বিষয়টি স্বীকার করে নেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও আশ্বাস দেন। কবে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে কিন্তু নিশ্চিত নন কেচন্দার মানুষ।

অখিল অন্যায় করেছে, আমি ক্ষমা চাইছি: মমতা

You might also like