
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: গভীর ঘুমের মধ্যেই কেঁপে উঠল ঘর। জানলার গ্রিল খুলে পড়ল শরীরে। চোখ খুলতেই সামনে দাঁড়িয়ে বিশালাকার হাতি। প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করতে করতে কোনওরকমে ঘর ছেড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচল যুবক।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ধুপগুড়ির মাগুরমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গিলান্ডি সেতু সংলগ্ন এলাকায় হানা দেয় ওই দাঁতালটি। তখন রাত প্রায় দেড়টা। ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন নয়নতারা সরকারের নাতি সম্রাট সরকার। আচমকাই ঘর কাঁপতে শুরু করে। হাতির শুঁড়ের আঘাতে হুড়মুড়িয়ে শরীরের উপর পড়ে যায় জানালার গ্রিল। ঘুম ভাঙতেই হাতি দেখে চিৎকার জুড়ে দেয় সম্রাট। কোনওরকমে ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য ঘরে চলে যায়।
সম্রাট বলে, “প্রথমে বুঝতেF পারিনি। পরে গ্রিল শরীরের উপরে পড়তেই দেখতে পাই হাতি। কোনওরকমে জীবন হাতে নিয়ে অন্য ঘরে চলে যাই। দূর থেকে দেখি ঘরে ঢুকে দু-বস্তা চালের পুরোটাই খেয়ে নিল দাঁতালটি। তাতেও তার খিদে মেটেনি। আমাদের পাশেই থাকা এক বৃদ্ধা শুক্লাবালা রায়ের বাড়িতেও একই ভাবে তাণ্ডব চালায় হাতিটি।”
নয়নতারা সরকার জানান, ঘর দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে। নাতিটা ঘরে ঘুমোচ্ছিল। কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অপর বৃদ্ধা শুক্লাবালা রায় বলেন, “হাতি দেখতে পেয়েই পালিয়ে গিয়েছিলাম। ঘর পুরো ভেঙে দিয়েছে। এখন কোনও সাহায্য না পেলে ঘর ঠিক করার উপায় নেই। একাই থাকি বাড়িতে। আতঙ্কে রয়েছি।”
স্থানীয়দের দাবি, মাঝেমধ্যেই জঙ্গল থেকে তাদের এলাকায় হাতি ঢুকে পড়ে। গতকাল রাতেও একই ভাবে ঢুকে পড়েছিল একটি দাঁতাল। বনদফতরকে ফোন করা হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ খোঁজ নিতে আসেনি।
জেলেই বন্দির রহস্যমৃত্যু! পিটিয়ে মারার অভিযোগে উত্তাল বারাসত