
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একজন ছিলেন পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী। পরে গান ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। কেন্দ্রে মন্ত্রীও হয়েছেন। আরএকজন পুরো সময়ের রাজনীতিক। তবে শখে-টখে গানও করেন। সেটা তাঁর প্যাশন। প্রথম জন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo), দ্বিতীয় জন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)।
বাবুল বিজেপিতে ছিলেন। দুম করে গত শনিবার তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। আর রাজীব তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন বিধানসভা ভোটের আগে। বিজেপির টিকিটে ডোমজুড়ে দাঁড়িয়ে বিপুল ভোটে হেরেছেন। তারপর থেকেই ঘরওয়াপসির সিগন্যাল দিচ্ছেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। সোমবার আরও একবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন।
এদিন রাজীব সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুরের ভোটে প্রার্থী না দিলে, সেটা হত বিজেপির গুড জেশ্চার।” সেইসঙ্গে রাজীব এও বলেছেন, “ভোটের প্রচারে বিভেদের রাজনীতি, ধর্মীয় বিভাজনকে ইস্যু হিসেবে তুলে ধরাকে ভালভাবে নেয়নি বাংলার মানুষ। যাঁকে দেখে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসন দিয়েছে, তাঁকে বেগম, খালা বলা শোভনীয় নয়।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজীবের মন্তব্যেই স্পষ্ট তাঁর উদ্দেশ কে। তাঁদের মতে, শুভেন্দুকে আক্রমণ করতেই এই মন্তব্য করেছেন রাজীব। গতকালই শুভেন্দুকে বলেছিলেন, রাজ্যসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী দেবে না। কারণ ফলাফল জানা। বিজেপি এখন মনোনিবেশ করবে ভবানীপুরে, পরাজিত মুখ্যমন্ত্রীকে আবার হারানোর জন্য। নতুন রাজ্য সভাপতি হয়ে সুকান্ত মজুমদারও একই কথা বলেছেন। কিন্তু খাতায় কলমে এখনও বিজেপিতে থাকা রাজীব বলছেন, ভবানীপুরে দিদির বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া একদম ঠিক হয়নি।
যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, সম্প্রতি শুভেন্দু কিন্তু মমতার উদ্দেশে খালা, ফুফু ইত্যাদি বলেননি। রাজীব সেই পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটেছেন। হতে পারে এটাই তাঁর সিগন্যাল।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই রাজীব সিগন্যাল দেওয়া শুরু করেছিলেন। একদিন কুণাল ঘোষের বাড়ি, একদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাবুল সুপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম পেয়ে গেলেও রাজীব এখনও সিগন্যালই দিচ্ছেন। কালীঘাট থেকে সবুজ পতাকাটা কবে তাঁর জন্য নাড়ানো হয় বোধহয় তার অপেক্ষাতেই রয়েছেন এই ‘জেন্টেলম্যান’ রাজনীতিক।