
গত কয়েক দিন ধরে জেলার পাত্রসায়র, সোনামুখী, বড়জোড়া, বেলিয়াতোড় এলাকার জঙ্গলে কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি হাতি। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষ। এই অবস্থায় রবিবার পাত্রসায়রের ধগড়িয়া গ্রামে হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্তদের চাষের জমি খতিয়ে দেখলেন বন দফতর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেই দলে এদিন পাত্রসায়র থানার ওসি সাইফুল শেখ, রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিনহা সামিল ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বোরহান মল্লিক কথায়, ” হাতির হানায় আমাদের ধান বীজের প্রচণ্ড ক্ষতি হয়ে গেছে। আগামী দিনে ধান চাষ করবো কি করে, তাই ভেবে কূল পাচ্ছিনা। তবে যে ক্ষতি হয়েছে সরকার তার ক্ষতিপূরণ দিক।” আরও এক স্থানীয় শেখ আয়নাল বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ” মৃত্যু হলে তাহলেই ক্ষতিপূরণ। তাই এখন কি করব ভেবে পাচ্ছিনা না। ঋণ কিভাবে মেটাব তানিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”
সমস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর পাত্রসায়ের রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিনহা বলেন, ”ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা সরেজমিনে খতিয়ে দেখলাম। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার, তাই দেওয়া হবে। একই সঙ্গে হাতিগুলিকে অন্য দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”