
মঙ্গলবার ৮ই সেপ্টেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে যাওয়া এই নারকীয় ঘটনার জেরে অশান্তি ছড়ায় রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া শীষগ্রাম নোয়াপাড়া এলাকায়। খবর যায় পুলিশেও। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
রায়গঞ্জ শহর লাগোয়া শীষগ্রাম নোয়াপাড়ার বাসিন্দা সুমনা শিকদার লোকের বাড়িতে ঠিকে কাজ করে দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতেন। স্বামী সুজন শিকদার সেলুনে কাজ করলেও সংসার খরচের টাকা সেভাবে কিছুই দিতেননা বলে অভিযোগ। পাশাপাশি সুজনের নেশা করা নিয়েও ওই পরিবারে গোলমাল লেগে থাকতো বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। পারিবারিক অশান্তির জের একাধিকবার থানা পুলিশ অব্দিও গড়িয়েছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে লোকের বাড়ি থেকে কাজ সেরে স্ত্রী বাড়ি ফিরে আসতেই তার কাছে ভাত খেতে চায় সুজন। সুমনা জানায় একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপরে খাবার দিচ্ছে সে। পাছে মা-বাবার মধ্যে নতুন করে গোলমাল বাধে, সেই ভয়ে ক্লাস ফাইভের ছাত্রী বড় মেয়ে অনামিকা নিজেই সেসময় এগিয়ে আসে বাবাকে খেতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কারও কথাতেই কর্ণপাত করেনি সুজন। বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকা একটা বাঁশের খুঁটি তুলে নিয়ে দুই মেয়ের সামনেই আচমকা সুমনার মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত বসিয়ে দেয় সে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির উঠোনেই মুখ থুবড়ে পড়ে যায় সুমনা।
ঘটনাস্থলে তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় সুমনা শিকদারের। স্ত্রী মারা গেছে বুঝতে পেরেই চুপচাপ হাঁটতে হাঁটতে অকুস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যায় সুজন। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে সে।
মেয়েদের চিৎকার শুনে ছুটে আসা পাড়াপ্রতিবেশীরাই নিজেদের উদ্যোগে খবর পাঠান স্থানীয় থানায়৷ রায়গঞ্জ থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত সুজন শিকদার এখনও নিখোঁজ। সব দিক দেখেশুনে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।