
প্রতিবেশীদের অভিযোগ মানসিক ভারসাম্যহীন ইরা করের উপর নিয়মিত অত্যাচার করত স্বামী প্রদীপ কর ও শাশুড়ি লতা কর। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে মৃতের শাশুড়ির দাবি, বুধবার রাতে খাট থেকে পড়ে গিয়ে আচমকাই তাঁর বৌমা মারা যান। সেই সময়ে তাঁরা দু’জন ছাড়াও একমাত্র নাতনি বাড়িতে ছিলেন। কিন্তু তিনি কথা বলতে পারেন না। ফলে তাঁর থেকে কিছু জানা যায়নি।
মৃতের স্বামীর দাবি তিনি কাজ থেকে বাড়ি ফিরে শোনেন স্ত্রী মারা গিয়েছে। এরপর স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে তাঁকে দাহ করে দেন। তিনি স্ত্রীকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন।
একমাত্র বোনের মৃত্যুর খবর শুনে বৃহস্পতিবার সকালে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন দাদা প্রবীর পণ্ডিত। প্রতিবেশীদের মতো তাঁরও অভিযোগ বোনকে মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে। প্রমাণ লোপাট করতেই বোনকে তড়িঘড়ি দাহ করা হয় বলে তিনি দাবি করেন। পরে বারাসাত থানায় বোনের স্বামী ও শাশুড়ির নামে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
বাইট প্রবীর পণ্ডিত, মৃতের দাদা
এদিন সকালে মৃতের দাদা এসে পৌঁছলে অভিযুক্ত প্রদীপ করের উপর প্রতিবেশীদের ক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে। স্ত্রীকে অত্যাচার করে মেরে ফেলার অভিযোগে তাঁরা ওই ব্যক্তির ওপর চড়াও হন। এইসময় মৃতের স্বামীকে মারধরও করা হয়। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত প্রদীপ করকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।