
পুলিশ জানিয়েছে, হাড়গোড়গুলো উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার ফরেন্সিক ল্যাবে।
নদীর চরে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তর্জা। গত বছর জুনে সন্দেশখালির ন্যাজাটে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের সময় নিখোঁজ হন বিজেপির সদস্য দেবতোষ মণ্ডল। বিজেপি নেতারা দাবি করেছিলেন দেবদাস মণ্ডলকে পরিকল্পনা করে খুন করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নরকঙ্কাল দেবদাস মণ্ডলেরই কিনা সেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে গ্রামে।
পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে গত বছর জুনে রক্তাক্ত হয় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ন্যাজাট। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে মৃত্যু হয় চার জনের। বিজেপি নেতারা দাবি করেন, সংঘর্ষে তাঁদের দলের পাঁচ কর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও তপন মণ্ডল নামে তিন জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ ওঠে, বাকি মৃতদেহগুলো সরিয়ে ফেলেছে পুলিশ। নিখোঁজদের মধ্যে নাম ছিল দেবদাস মণ্ডলেরও।
দেবদাসের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। যদিও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর একমাত্র ছেলে দেবদাসকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে।
সন্দেশখালির হাটগাছিয়ার ভাঙ্গিপাড়ার এই অঞ্চলে বেশির ভাগ লোকই মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত। দেবদাসও এই ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। নিম্নবিত্ত এই পরিবারটি দেবদাসের আয়ের উপরই নির্ভরশীল। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। দেবদাসের স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল বলেছেন, “যে হাড়গুলো উদ্ধার হয়েছে সেগুলো দেখানো হোক। তদন্ত করুক সিবিআই। আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি।”
ঘটনা প্রসঙ্গে বসিরহাটের বিজেপি নেতা শান্তনু চক্রবর্তী দাবি করেছেন, একবছর হয়ে গেল নিখোঁজ বিজেপি কর্মীর কোনও সন্ধান নেই। দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল দেবদাস। সঠিক তদন্ত করুক সিবিআই।