
রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব বিবেক কুমার ভিডিও কনফারেন্স করেন জেলাশাসক ও জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেই স্বাস্থ্য সচিব নির্দেশ দিয়েছেন টেস্ট আরও বাড়াতে হবে। যে এলাকায় টেস্টের সংখ্যা আশানুরূপ নয় সেখানে পুল টেস্টের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
সূত্রের খবর এ দিন বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে যে করোনা-পরীক্ষা হচ্ছে তার গতি অত্যন্ত ধীর। অনেকটা সময়ে অনেক কম সংখ্যায় টেস্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে পারে না। টেস্টের সংখ্যা যতটা সম্ভব বাড়াতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনাতেই মারা গেছেন স্বাস্থ্যকর্তা বিপ্লব দাশগুপ্ত, স্বীকার করুক রাজ্য! দাবি ৬টি চিকিৎসক সংগঠনের
কেন্দ্রীয় দলের চিঠির পর দু’দিন আগে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিক ও সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যালদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। তারপর ১১ দফা গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছিল নবান্ন। তাতে বলা হয়েছিল, নমুনা সংগ্রহের ১২ ঘণ্টার মধ্যে টেস্টের রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে এদিন বলা হয়েছে, মুখ্যসচিব যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তার মধ্যেই টেস্টের রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে।
গত পরশু হাওড়ার বিভিন্ন কোভিড হাসপাতাল, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং কন্টেইনমেন্ট জোন পরিদর্শনে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় দল। তা নিয়ে গতকাল মুখ্যসচিবকে চিঠি দেন অপূর্ব চন্দ্র। তাতে জানতে চাওয়া হয়, কী ভাবে নজরদারি চলছে, কী ভাবে স্ক্রিনিং হচ্ছে, কতজনের স্ক্রিনিং হয়েছে, পজিটিভ রোগীদের সংস্পর্শে আসা কতজনকে চিহ্নিত করে টেস্ট করা হয়েছে? মনে করা হচ্ছে তারপরই স্পর্শকাতর এলাকায় পুল টেস্টের বিষয়ে জোর দিল স্বাস্থ্য ভবন।
অন্যদিকে শনিবারের পর রবিবারও কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন দেশের সব রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজিপি, স্বাস্থ্য সচিব ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সচিবদের নিয়ে। রবিবার হলেও নবান্ন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিজি শ্রীবীরেন্দ্র, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থ।
শনিবারের মতো এদিনের ভিডিও কনফারেন্সেও ছিলেন না মুখ্যসচিব। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, তাঁর শরীর ভাল নেই বলে তিনি আসেননি।