
রফিকুল জামাদার
২৮ তারিখে HM/0/MERT/923/SS(ME)/38/2020 নম্বরের একটি নোটিস প্রকাশিত হয় রাজ্য সরকারের তরফে। তাতে দেখা যায়, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড টেস্টের খরচ কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করে ১২০১ টাকায় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আজ, ১ অক্টোবর সন্ধেয় আবারও নোটিস দিয়ে জানানো হল, আগের টাকা কমানোর নোটিসটি আপাতত বাতিল।
বস্তুত, প্রথম নোটিসের ভিত্তিতে দ্য ওয়ালে আজ বৃহস্পতিবার খবরটি প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত হওয়ার পরে তা স্বাস্থ্য সচিবকে পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয়, এই রেটই কি আগে ২২৫০ টাকা ছিল? তিনি জানান, এটি ‘অভ্যন্তরীণ নির্দেশিকা’। পাশাপাশি তিনি জানান, খরচ কমানোর গোটা পদ্ধতিই আলোচনা করে দেখা হচ্ছে।
কিন্তু এই উত্তর আসার কিছুক্ষণ পরেই আজকের অর্থাৎ ১ তারিখের তারিখে আরও একটি নোটিস জারি করা হয় স্বাস্থ্য দফতরের। তাতে লেখা হয়, ২৮ তারিখের HM/0/MERT/923/SS(ME)/38/2020 নম্বরের যে বিজ্ঞপ্তি, তা বিশেষ কারণে আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, কেন এমনটা করা হল। ২৮ তারিখের নোটিস যদি টেস্টের খরচ কমিয়ে অর্ধেক করার কথা বলে, তবে কী এমন কারণে তা প্রত্যাহার করতে হল। তাহলে কি খরচ কমানোর বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়? কিন্তু চূড়ান্ত না হলে সরকারি নোটিসই বা প্রকাশিত হল কী করে!
২৮ তারিখের ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, এখন থেকে কোনও বেসরকারি ল্যাবরেটরি যদি আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড টেস্টের জন্য সরকারে নির্ধারিত ১২০১ টাকার থেকে বেশি রেট নেয়, তবে তা আইনত অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
পড়ুন কিছুক্ষণ আগে দ্য ওয়ালে প্রকাশিত খবর: আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড টেস্টের রেট প্রায় অর্ধেক করে দিল রাজ্য
এর আগে, জুন মাসের ২৬ তারিখে কোভিড চিকিৎসা জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগীর থেকে কত টাকা নেবে, সেই অঙ্ক বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কোভিড টেস্ট বাবদ ২২৫০ টাকার বেশি কোনও রোগীর থেকে নেওয়া যাবে না। বাকি খরচও কোন খাতে কত হবে, তা উল্লেখ করে দিয়েছিলেন। জুন মাসে ২২৫০ টাকা রেট ঘোষণার আগে পর্যন্ত এই রেট ছিল ৪৫০০ টাকা।
এর পরে আবারও কমিয়ে ১২০১ টাকা করা হলেও, সরকারি নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পরেও ফের তা সরিয়ে দেওয়া হল।