
বাসিন্দারা জানান, ভাঙনের কবলে পড়ে বেশ কয়েকবার বাড়ি সরিয়েছেন। কিন্তু ধীরে ধীরে গঙ্গা গ্রাস করেছে নতুন এলাকাও। সারা বছরই কমবেশি ভাঙন চলে। তবে বর্ষা এলেই গঙ্গায় জল বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন তীব্র হয় আরও। মানুষের ভিটে বাড়িতো বটেই ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুর্গাপুর গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক স্কুলটিও। গঙ্গা যেখানে ভাঙছে তার থেকে মাত্র ২৫ মিটার দূরে স্কুলের বাড়ি। যে কোনও দিন তলিয়ে যেতে পারে স্কুল। পড়ুয়াদের পাঠাতে তাই ভরসা পান না অভিভাবকরা।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গত ১৫ বছরেও ভাঙনরোধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। যেটুকু হয়েছে তা পুরোপুরি সাময়িক। স্থায়ী ভাবে ভাঙন বন্ধের জন্য কোনও কাজ হয়নি। সবাই চাইছেন স্থায়ী সমাধান। তাই ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়। সরাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়ডাঙ্গা, তারিণীপুর, সরাটি, ইশ্বরীপুর, গ্রামগুলি বর্তমানে রয়েছে। তবে, দুর্গাপুর গ্রামটি নদিয়ার মানচিত্র থেকেই মুছে গেছে। এমন চললে বাকি গ্রামগুলি বিলীন হতে আর দেরি নেই বলেই মনে করছেন তাঁরা।
সরাটি পঞ্চায়েতের প্রধান মলয় কীর্তনীয়া জানান, গ্রামবাসীদের ক্ষোভের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাঁদের কাছেও ভাঙন রোধে কোনও ব্যবস্থা না থাকায় কিছু করতে পারছেন না। শুধু প্রতিদিনের ছবি তুলে যোগাযোগ রেখে চলেছেন প্রশাসনের সঙ্গে।