
পানিহাটির গঙ্গায় মিলল বৃদ্ধের দেহ! মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: দাদু নিখোঁজ হওয়ার দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাদুকে খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন নাতনি। সোশ্যাল সাইটে ভাইরালও হয় সেই পোস্ট। এরপর রেল স্টেশন থেকে মন্দির খোঁজাখুঁজি চলেছে সর্বত্র। কিন্তু ফল মেলেনি। অবশেষে পাঁচদিন পর দাদুর মৃতদেহ (Grandfather Deadbody) উদ্ধার হল পানিহাটির গঙ্গার ঘাটে (Ganga Ghat)। মৃতের নাম প্রণব রায়চৌধুরী (৮৬)। কোন্নগরের দেবপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ নভেম্বর সকালে বাড়িতে থেকে বেরিয়েছিলেন প্রণববাবু। তারপর থেকেই আর খোঁজ মিলছিল না তাঁর। রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় ওই দিনই উত্তরপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পানিহাটি থানা থেকে খবর আসে গঙ্গা থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহ সনাক্তকরণের জন্য বৃদ্ধের পরিবারের ডাক পরে। তারপরেই পরিবারের সদস্যরা তাঁর দেহ সনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাবা বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করছে মাকে, বন্ধ ঘরে আর্তনাদ মেয়ের, ভয়ঙ্কর ঘটনা কোলাঘাটে
বৃদ্ধের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমেছে রায়চৌধুরী বাড়িতে। মেয়ে ও নাতনির সঙ্গে থাকতেন প্রণববাবু। মেয়ে স্মৃতি ঘোষ জানান, তাঁর বাবা একদমই সুস্থ ছিলেন। কোনও অবসাদ কখনও নজরে আসেনি তাঁদের। তবে ইদানিং ভুলে যেতেন অনেককিছু। তবে ভোরবেলায় হাঁটতে বেরোতেন নিয়মিত। ওইদিন ভোরে হাঁটতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি।
প্রণববাবুর নাতনি ঈশা ঘোষ বলেন, ‘দাদু কোন্নগর বারো মন্দির ঘাটের সামনে বসে থাকতেন। নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশকে জানানোর পাশাপাশি আমি নিজে গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেছি। তারকেশ্বর-বেলুড়-কাটোয়া সব জায়গায় ঘুরেও সন্ধান মেলেনি। গতকাল সকালেও দক্ষিণেশ্বর গিয়ে খুঁজে এসেছি। বার্ধক্যজনিত কারণে দাদুর স্মৃতি কিছুটা দুর্বল হয়েছিল। এমন ঘটনা কী করে হল বুঝতে পারছি না।’
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রণব রায়চৌধুরীর ভাই মানস রায়চৌধুরী কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বোমা মেরে দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছিল।