
আরও পড়ুন
সুশান্ত তদন্তে অভিনেতার প্রাক্তন বিজনেস ম্যানেজারকে সমন পাঠালো ইডি
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বৈঠকে ঠিক হয়েছে আলুর পাইকারি ব্যবসায়ীরা আগামী বুধবার থেকেই আলু সংগ্রহ শুরু করবেন। এর পরে সেই আলু কলকাতা ও অন্যান্য জায়গার বাজারে ১৫ অগস্টের মধ্যে পৌঁছে দেবেন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে খুচরো বাজারে স্বাধীনতা দিবসের দিন থেকেই ২৫ টাকা কেজি দরে আলু পাওয়া যায়।
করোনা আবহে লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকেই খুচরো বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। মূলত যাতায়াত ব্যবস্থা কম থাকার জন্যই সবজির দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে মারাত্মক ভাবেই বেড়ে রয়েছে আলুর দাম। এখন বাজারে এক কেজি জ্যোতি আলুর দাম কমপক্ষে ৩০ টাকা। অন্য দিকে চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা পর্যন্ত দরে। কলকাতা থেকে শুরু করে জেলাশহর বা গ্রামীণ এলাকা, সব জায়গায় ছবিটা প্রায় একই রকম। নবান্ন সূত্রে জানা যায়, এতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি।
আলুর দাম বাড়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, চাহিদা বাড়ার জন্যই দাম বেড়েছে। রাজ্যে আলুর উৎপাদনে কোনও খামতি নেই। কিন্তু বাংলা থেকে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগড় ও ওড়িশাতে আলু রফতানি করা হচ্ছে। ফলে উৎপাদন বেশি হলেও চাহিদা অনুযায়ী যোগান কমছে। তবে সরকার সেই দাবিতে খুব একটা খুশি হয়নি। নবান্নের বক্তব্য ছিল, দাম এত বাড়ার পিছনে অন্যতম বড় কারণ আলু মজুত রাখা। অনেকেই দাম বাড়ানোর জন্য কোল্ড স্টোরেজে অনেক আলু মজুত রাখছেন। এর পরে গত ২৪ জুলাই রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয়, কোল্ড স্টোরেজে ৪০ বস্তার বেশি আলু কেউ মজুত করে রাখতে পারবেন না।
এর পরে এদিন ফের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে টাস্ক ফোর্স বৈঠক করে। এর পরেই দ্রুত আলুর দাম কমানোর ব্যপারে কী কী করা যেতে পারে তা ঠিক হয়।