
পাশাপাশি, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের পুনর্বাসনের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে। ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, নির্দেশ কার্যকর না করলে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হবে।
এরপরই কোচবিহার প্রশাসনে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ভোটের পরেই বিজেপি বলেছিল, কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গায় এমন সন্ত্রাস হচ্ছে যে নানুষ পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। শিশু সুরক্ষা কমিশনের চিঠিতেও সেই ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।
বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে গত ৩ মে থেকে এই প্রায় এক মাসে কম তোলপাড় হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যপালকে ফোন করা থেকে রাজভবনের কাছে অমিত শাহের মন্ত্রকের রিপোর্ট তলব, রাজ্যপালের কোচবিহার-নন্দীগ্রাম সফর থেকে সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় কেন্দ্রীয় টিমের পৌঁছে যাওয়া—সবই হয়েছে এই সময়ে। এর মধ্যেই আবার ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের উপর বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছে। বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে এসেছিল জাতীয় তফসিলি কমিশনের প্রতিনিধি দলও।
এই সমস্ত কিছুকেই বাংলার আইনশৃঙ্খলার জরাজীর্ণ অবস্থা বলে দেশের দু’হাজারের বেশি মহিলা আইনজীবী চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। ইতিমধ্যেই একটি জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছে। ১ জুন আবার ওই মামলার শুনানি রয়েছে শীর্ষ আদালতে। তার মধ্যেই শিশু সুরক্ষা কমিশনের এই নির্দেশ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।