
৩,৪ দিন আগে হঠাৎই স্মার্টফোনটি খারাপ হয়ে যায়। সেই পড়ুয়ারও তখন নাওয়া খাওয়া মাথায় ওঠে। মোবাইল সারিয়ে দেওয়ার বায়না করলেও বাবা মা কান না দেওয়ায় অভিমানে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে সেই ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে সেই ঘটনায় ধূপগুড়ির পূর্ব ডাউকিমারী এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে।
ঘরের মধ্যে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা হরেকৃষ্ণ এবং মা দিপালী সরকার। ফোন সারানোর জন্য যে আড়াই হাজার টাকা লাগত! এত টাকা কোথায়, অভাবের সংসারে!
এদিকে পান থেকে চুন খসলেই পড়ুয়াদের মধ্যে যে হারে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাতে চিন্তিত হয়ে পড়ছে বিশেষজ্ঞ মহল। সে নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মানসিক বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার স্বস্তিশ্রবন চৌধুরীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে এখনকার প্রজন্ ইমপালস কন্ট্রোল সমস্যায় ভুগছে। তারা বাবা মার অসহায়তার কথা বুঝতে চায় না। নিজেদের আবেগকেও ধরে রাখতে পারেনা। তাই মাঝেমধ্যেই এই ধরনের ঘটনা লক্ষ করা যাচ্ছে।