
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে দিল্লি রোডের ধারের একটি কারখানায় (Hooghly factory) গ্যাস সিলিন্ডার (Gas cylinder) ফেটে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের (two workers died)। আহত হয়েছেন চারজন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে গণেশ স্টিল কারখানায় ছাট মালের কাটিং এর কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। সেই সময় হঠাৎ ফেটে যায় সিলিন্ডার। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। আহত হন বেশ কয়েকজন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় আরও একজনের।
মৃতদের নাম গুয়েরাম দলুই (৪৮) ও পঙ্কজ দাস (২০)। গুয়েরাম শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরের বাসিন্দা। পঙ্কজের বাড়ি শ্রীরামপুরের বেলু এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিদিনের মতোই কাজ চলছিল। আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে কারখানা চত্বর। পরে জানা যায় গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেছে। হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। এলাকার মানুষজন ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে এক শ্রমিকের।
গণেশ স্টিল নামে এই কারখানায় লোহার ছাঁট (স্ক্র্যাপ) থেকে লোহা গলানো হয়। এদিন সেই কাজ চলার সময়েই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। যে সব শ্রমিকরা সেখানে কাজ করছিলেন তারা আহত হন। দুর্ঘটনার পরেই তেতে ওঠে কারখানা চত্বর। অফিস ঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। খবর পেয়ে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক তথা হুগলি শ্রীরামপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন। বিধায়ক বলেন, “লোহা কাটাই এর কাজ করার সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে এগুলো ডিফেন্সের ছাঁট লোহা। অল্প পারিশ্রমিকে শ্রমিকদের এই সমস্ত কাজ করানো হয়। বিষয়টা কতটা বৈধ সেটা দেখা দরকার। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে বা যারা আহত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”
কারখানার শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বড় লোহা হলে সেগুলোকে গ্যাস দিয়ে কাটিং করে ছোট করা হয়। অনেক ধরনের লোহা আসে যার মধ্যে কামানের গোলাও থাকে। যেগুলোতে বারুদ থাকে সেগুলো আলাদা করে দূরে ফেলে রাখি। সুপারভাইজার ভীম সিং আজ ওই গোলাগুলোকে কাটতে বলেন। তখনই বিস্ফোরণ হয়। আমাদের নিরাপত্তা কোথায়!
স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ পাল বলেন, “দুর্ঘটনার পর ম্যানেজমেন্টের লোকজন পালিয়ে যায়। মৃতদেহ বের করে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন এলাকার লোক বাধা দেয়।”
কারখানার ম্যানেজার কুনাল রায় বলেন, “আমি এগারোটার সময় এসে দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি। তারপরেই হাসপাতালে যাই। স্টিল প্ল্যান্টে ছাঁট লোহা দিয়ে কাজ হয়। মৃত এবং আহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।”
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, “কারখানায় একটা দুর্ঘটনা হয়েছে। দুজন মারা গেছেন। কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
ইনস্টায় পরিচয়, সেক্সচ্যাট, নগ্ন ভিডিও! শেষে কিশোরীকে হোটেলে ডেকে ধর্ষণ ‘বন্ধু’র