
এ ব্যাপারে এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার রেলের সঙ্গে কথা বলবে। যাতে কোভিড বিধি মেনে পুণ্যার্থীদের যাতায়াত করানো যায়। কিন্তু মেলা নিয়ে আলাদা করে কিছু ঘোষণা করা হয়নি।
সাগর থেকেই দু’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমি কাউকে আটকাতে পারি নাকি। বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে যাঁরা আসবেন তাঁদের আমি আটকাব কী করে? এদিন দেখা গেল রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কোনও বিশেষ কড়াকড়ি করল না।
মূলত গঙ্গাসাগরে আসেন উত্তর ও পশ্চিম ভারতের লক্ষ লক্ষ মানুষ। এদিন নবান্ন যে নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে দূরপাল্লার ট্রেনে কোনও বিধি আরোপ করা হয়নি। আবার লোকাল ট্রেন চলবে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত। যদিও বলা হয়েছে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলবে। তবে তা কতটা কার্যকর হয় সেই অভিজ্ঞতা গত দু’বারে বাংলার মানুষের হয়েছে। এখন এই বিধিতে দেখা যাচ্ছে সাগরে মানুষের ঢল নামার ক্ষেত্রে কোনও অন্তরায় নেই।
অনেকের আশঙ্কা, যেহেতু দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই মেলায় আসেন তাই কোভিডের ছড়ানোর ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। যদিও মাস্ক পরা এবং অন্যান্য বিধি কার্যকর করার ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থার কথা শুনিয়েছে নবান্ন।