
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: দমকল কর্মীর করোনা পজেটিভ ধরা পড়তেই দমকল পরিষেবা কেন্দ্র বন্ধ করে সেখানেই সাময়িকভাবে তৈরি করা হল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। আক্রান্তের সহকর্মীরা পরিবারের কথা ভেবে বাড়ি না গিয়ে দমকল কেন্দ্রেই স্বেচ্ছাবন্দি রাখলেন নিজেদের। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ময়নাগুড়িতে।
সম্প্রতি ময়নাগুড়ি দমকল কেন্দ্রের এক কর্মীর করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। তারপরেই তাঁর পরিবারের পাশাপাশি সহকর্মীদেরও ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই দমকল কেন্দ্র। কর্মীরা বাড়ি না গিয়ে রয়ে যান দমকল কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। ময়নাগুড়ি দমকল কেন্দ্র বন্ধ রাখার ফলে এই এলাকায় আপাতত জলপাইগুড়ি, ধুপগুড়ি, মালবাজার এবং মেখলিগঞ্জ দমকল কেন্দ্র থেকে পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷
জানা গেছে, ময়নাগুড়ি দমকল কেন্দ্রে মোট ৩৫ জন কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের করোনা ধরা পড়তেই আতঙ্ক ছড়ায় অন্যদের মধ্যে। কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে জেনে দমকলকেন্দ্রেই থেকে যান তাঁরা। কিন্তু সেখানে খাবার, পানীয় জল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। কর্মীরা অভিযোগ করেন, খাবার না পেয়ে মাঝেমধ্যেই অভুক্ত থাকতে হচ্ছে তাঁদের। এক কর্মী বলেন, আমরা সবসময় একটা টিম হিসেবে কাজ করি। একজনের করোনা ধরা পড়ার পরে যখন আমাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয় তখন এই দমকলকেন্দ্রকেই আমরা বেছে নিয়েছি। তাতে আমরা সবাই এক জায়গায় থাকতে পারব। পাশাপাশি আমাদের পরিবারের লোকজনও নিরাপদে থাকতে পারবেন। কিন্তু এখন আমাদের খাবার, পানীয় জল এ সব পেতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।’’
কর্মীদের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি দমকল কেন্দ্রের সমস্ত কর্মীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হোক। যাতে এই অবস্থা্ থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি মেলে তাঁদের। পাশাপাশি তাঁদের খাবার ও পানীয় জলের সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে সেদিকেও নজর দিক কর্তৃপক্ষ।
ময়নাগুড়ি ফায়ার স্টেশনের ইনচার্জ গোবিন্দ বর্মন জানান, সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের মতো পরিকাঠামো এখানে নেই। তাই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে কর্মীদের। সমস্ত বিষয়টা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।