
ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বীরেন নায়েক জানিয়েছেন, তিনি জমি থেকে ধান তুলে এনে বাড়িতে রেখেছিলেন। প্রায় পঁচিশ-তিরিশটি হাতির দল ঢুকে সেই ধান তছনছ করে কার্যত মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসন এবং বন দফতর বিষয়টি নিয়ে নির্বিকার। বন দফতর হাতি তাড়াতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গত দু-তিনদিনের মধ্যে দুবার হাতি হানা দিয়েছে। ধান নষ্ট করাই শুধু নয়, তাঁদের ঘর ও রান্নাঘর ভেঙেছে। রান্নার বাসনকোসন একটাও আস্ত রাখেনি। তাঁর একটি গোরুও মারা গিয়েছে হাতির আক্রমণে। সবমিলিয়ে তিনি সর্বস্বান্ত হলেও প্রশাসন বা বন দফতরের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণের আশ্বাসটুকু মেলেনি। এখন সংসার চালাবেন কী উপায়ে তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় তাঁর পরিবার।
গ্রামবাসীদের অনেকের বক্তব্য, শোষক পোকা লেগে এমনিতেই ধানের ক্ষতি করেছিল। তার ওপর হাতি ঢুকে ধান একেবারে নষ্ট করে দিচ্ছে। প্রতিদিন সন্ধে হলেই এলাকায় হাতি ঢুকছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করছে। হাতির হানায় এলাকায় তিনজনের মৃত্যুও হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, বন দফতর হাতি তাড়াতে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণেরও কোনও উদ্যোগ নেই। কলাইকুণ্ডা রেঞ্জ, সাঁকরাইলের বিট বা তার অধীন বারোডাঙা বিটের তরফে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে কোনও ভাবনাই নেই। ফোন করেও তাদের সাড়া মেলেনি। বারোডাঙা বিটের দায়িত্বে থাকা জনৈক মনোজবাবুর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁরা।
এখন ডুমুরিয়া গ্রাম হাতির ভয়ে সন্ত্রস্ত। সন্ধে হলেই যে যার বাড়িতে ঢুকে পড়ছেন। কখন হাতি হানা দেবে, তা ভেবেই শঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা। গত দু-তিনদিনের মধ্যে দুবার হাতি হানা দিয়েছে গ্রামে। হাতি তাড়াতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসন বা বন দফতর কোনও তরফেই কোনও ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও মেলেনি। স্বাভাবিকভাবেই ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামবাসীদের। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দায় সেরেছে বন দফতর।