
এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন এবার থেকে প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট আর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী বছর বছর নিয়োগও হবে। ‘আমরা প্রত্যেক বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করব,’ বলেন ব্রাত্য বসু।
গতকাল হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, নিয়োগ দেরিতে হচ্ছে বলে চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের ছাড় দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
এসএসসি নিয়োগ নিয়ে আজ শনিবার প্রেস কনফারেন্স করবেন শিক্ষামন্ত্রী। গতকাল হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আজই কমিশন নিয়োগের পুরো রূপরেখা দিয়ে দেবে বলে জানা যাচ্ছে।
দীর্ঘ ৬ বছর ধরে এসএসসি নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট। তারপর তার ফলপ্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। মোট ১৪ হাজার ৩৯৯টি শূন্যপদে নিয়োগের কথা বলা হয়। টেট পাশ করেন মোট ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬০ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হয়। ওই বছরের ৪ অক্টোবর নিয়োগের জন্য মেধাতালিকাও প্রকাশিত হয়।
কিন্তু ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট প্যানেল খারিজ করে দেয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে হয় অনলাইন ভেরিফিকেশন। তারপর ২১ জুন সাড়ে ১৫ হাজার প্রার্থীর ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফের হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু গতকালই তার প্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হয়েছে।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মামলা না করে সকলের নিয়োগ নিয়ে ভাবা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হবে। মামলা যেগুলো চলছে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনীতির আঙিনায়। নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার।