
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা, হাওড়ার পুরভোট এখনও অনিশ্চয়তার দোলাচলে। আদৌ ১৯ ডিসেম্বর এই দুই পুরসভায় ভোট হবে কিনা, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। আজ বুধবার হাইকোর্টে পুরভোট মামলার শুনানি আছে। হয়তো সেখানেই পরিষ্কার হবে কলকাতা হাওড়ার ভোট-ভবিষ্যৎ। কিন্তু তার আগে প্রশ্ন উঠে গেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, কেন কলকাতা হাওড়ার ভোট আগে হচ্ছে, কেনই বা একসঙ্গে নয়, ধাপে ধাপে ভোট করাতে চায় তারা। বলা হয়েছে, কমিশনের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইভিএম মেশিন নেই। সেই কারণেই নাকি একবারে সব পুরসভায় ভোট করা সম্ভব না। কমিশনের এই বক্তব্যে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, একসঙ্গে ১১২টি পুরসভায় ভোট করানোর জন্য প্রয়োজন ৩০ হাজার ১৭৩টি ইভিএম। কিন্তু এই মুহূর্তে কমিশনের কাছে আছে মাত্র ১৫ হাজার ৬৮৭টি মেশিন। যার মধ্যে এম ১ ইভিএম আছে ৭ হাজার ৮৩৬টি এবং এম ২ ইভিএম আছে ৭ হাজার ৮৫১টি। এই দুই প্রকার ইভিএমই বেশ পুরনো। অন্যান্য ভোট হয় এম ৩ ভার্সনের আরও উন্নত ইভিএমে।
বিরোধীদের প্রশ্ন, ২০২০ সালে পুরভোট হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারণে তা হয়নি। এখন ২০২১ সালও শেষের মুখে। এতদিন কমিশন কী করছিল? কেন তারা ইভিএম জোগাড় করে রাখেনি? কেনই বা নতুন ইভিএম মেশিন আনানো হয়নি? সর্বদলীয় বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস কেন্দ্রীয় কমিশনের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন বলে খবর। কিন্তু প্রশ্ন তাতেই থেমে যায়নি।
মাত্র ১৫ হাজার ইভিএম মেশিন দিয়ে কলকাতা আর হাওড়ার ভোট করানো হলে বাকি পুরসভার ভোট কবে হবে, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। কারণ ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরেই তো ইভিএম কাজে লাগানো যায় না। তা অন্তত এক মাস আটকে থাকে। ধাপে ধাপে পুরভোট করা হলে কবে সে প্রক্রিয়া শেষ হবে, তাও অনিশ্চিত। সময়ের জটিলতার অঙ্কে প্রবেশ করছে পুরভোটের এই ইভিএম সমস্যা।
সবমিলিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা পুরভোটের আগে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।