Latest News

জোর করে মাংসর দোকান বন্ধ করা নিয়ে অশান্তি, উত্তরপ্রদেশে সক্রিয় বজরং দল

দ্য ওয়াল ব্যুরো: নবরাত্রি (navratri) এসে গেছে, তাই উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় মাংসের দোকান বন্ধ করতে অতিসক্রিয় হয়ে উঠল হিন্দু মহাসভা-সহ একাধিক কট্টোরপন্থী সংগঠন। বিভিন্ন রেস্তোরাঁ থেকেও মাংসের পদ সরিয়ে দিচ্ছে তারা। সাহারনপুর, বুলন্দশহর, মীরাট– এই সব এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই নিয়ে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে সাহারানপুরে এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুলিও চলে। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। দেখা যাচ্ছে, জোর করে একটি দোকান বন্ধ করার চেষ্টা করছে কয়েকটি ছোট ছোট দল। একই রকম দৃশ্য দেখা গেছে বুলন্দশহরেও। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শাহারানপুরের নবাবগঞ্জ এলাকার এক রেস্তোরাঁ মালিক মহম্মদ দানিশ বলেন, “আচমকা ৭০-৮০ জন লোক এসে ঘিরে ফেলে আমার দোকান। আমায় বলে দোকান বন্ধ করতে হবে। আমরা অনুরোধ করি, কয়েক ঘণ্টা সময় চাই। কিন্তু ওরা শোনেনি। এই নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। ওদের মধ্যেই কেউ গুলি চালায়।”

ফের স্থগিত ইউজিসি নেট পরীক্ষা, নতুন তারিখ ঘোষণা হবে শীঘ্র

তবে হিন্দু মহাসভার সদস্য কপিল মোদা পাল্টা দাবি করেন, “দোকানদাররা আরও লোক ডাকতে থাকে। আমাদের দিকে পাথর ছুড়েছে ওরা। কয়েক রাউন্ড গুলিও চালিয়েছে।” সাহারনপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার বলেন, “আমরা দু’পক্ষেরই জবানবন্দি নিয়েছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। নবরাত্রি চলার সময়ে মাংসের দোকান বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।”

বুলন্দশহরের সিকান্দারবাদে আবার এই একই কাণ্ড ঘটায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। শেষমেশ সেখানে পুলিশের তরফে নোটিস জারি করা হয়েছে, নবরাত্রি চলার সময়ে সব মাংসের দোকান বন্ধ রাখার জন্য। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জেলা সভাপতি রবীন্দ্র শর্মা বলেন, “আমাদের ধর্মীয় মিছিল চলছে রাস্তায়। সে সময়ে মাংসের দোকান খোলা থাকলে তা অত্যন্ত আপত্তিজনক। আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি বিষয়টি দেখতে।”

এসবের মধ্যে মীরাটে আবার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নেমেছে ডানপন্থী সংগঠনগুলি। বজরং দলের তরফে দীপক ত্যাগী বলেন, “এই মুহূর্তে সমস্ত প্রাণীহত্যা বন্ধ করতে হবে। সেইসঙ্গে সমস্ত দোকানে মাংস ও মাংস দিয়ে রান্না করা পদ বিক্রিও বন্ধ করতে হবে।”

মীরাটের এসপি সুরজ রাই এ প্রসঙ্গে বলেন, “আইনি ভাবে কোনও বাধ্যতা চাপানো হয়নি মাংসের দোকান বন্ধের ক্ষেত্রে। কিন্তু স্থানীয় ভাবে আলোচনা করে, শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে কিছু দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।”

পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা ‘সুখপাঠ’

You might also like