
ডিজের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়লেও কোনরকম বাঁধা দেয়নি এলাকাবাসী। কিন্তু পুলিশ এসে বন্ধ করে দেয় ডিজে। তাতেই ক্ষেপে যায় পিকনিক পার্টি। সন্দেহ হয় নওপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ খানের ওপর। তাঁদের বক্তব্য, বিশ্বজিতের কথাতেই পুলিশ আসে।
যেমন সন্দেহ, তেমন কাজ। বিশ্বজিৎ খানের বাড়িতে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় সেই পিকনিক পার্টির কিছু লোক। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বিশ্বজিৎ বাবুর ছেলে সুমনের মাথা ফাটিয়ে দেয় তারা, আহত হন ওই পরিবারের এক বধুও। তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল থেকে তারস্বরে ডিজে বাজলেও স্থানীয়রা কেউই এদিন প্রতিবাদ করার সাহস পাননি। এলাকার সেইসব যুবকদের সকলেই এড়িয়ে চলতেন। এদিকে পুলিশ রাউন্ডে বেরিয়ে নিজেরাই দেখতে পান সেই হুল্লোর। ডিজে আটক করেন। আর যুবকদের সন্দেহ হয় বিশ্বজিত বাবুই হয়তো পুলিশকে খবর দিয়েছেন। সেই ঘটনাতেই প্রতিশোধ নিতে চড়াও হয় যুবকরা। ঘটনায় চারজন অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।