Latest News

প্রতিশ্রুতির পর পাল্টি! মমতা সরকারকে ছোটোলোক ধোঁকাবাজ বলে কটাক্ষ দিলীপের

দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিউটাউনের ইকোপার্কে দিলীপ ঘোষের প্রাতঃভ্রমণ এবং সেখানে চা খেতে খেতে রাজ্য সরকারকে তুলোধুনো, এটা চেনা ছবি। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। সাত সকালে রাজ্য সরকারকে ছোটোলোক, নিম্নরুচি, ধোঁকাবাজির সরকার বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সম্প্রতি বাংলার পশ্চিম অংশ প্রসঙ্গে বিজেপির যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁর মন্তব্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। রাঢ় বঙ্গকে আলাদা করার কথা বলেছেন তিনি। স্পষ্ট বলেছেন, আমরা রাঢ় বঙ্গকে পৃথক রাজ্যে পরিণত করার দাবি জানাব।

এই বঙ্গভঙ্গ প্রসঙ্গেই এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, কেউ বাংলা ভাগের দাবি করেননি। সবাই বলেছেন বঞ্চনা বৈষম্য হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ আর জঙ্গলমহলের লোকজন স্বাধীনতার পর থেকেই বঞ্চিত। তাই তাঁরা নিজেদের অধিকারের জন্য বিরোধী দলকে ভোট দিয়েছেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সৌমিত্র খাঁ সেখানকার মানুষের ক্ষোভের কথা বলেছেন।

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, রাজ্য সরকারের প্রতি মানুষের বিশ্বাস নেই। ওই সব এলাকার মানুষ ভোট বাক্সেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। রাজ্য সরকার কাজ করে দেখাক। মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিক।

ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রী পালন করেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন গেরুয়া সভাপতি। তিনি বলেন, ভোটের আগে কিছু উচ্ছিষ্ট ফেলে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের বলেছিলেন ৫০০ টাকা করে ভাতা দেবেন। আদিবাসীদের হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু এখন বলছেন পয়সা নেই। এই বঞ্চনা এই ধোঁকাবাজির বিরুদ্ধেই মানুষ আওয়াজ তুলছেন।

সৌমিত্র খাঁর বাংলা ভাঙার মন্তব্যে কি এ রাজ্যে বিজেপির ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগবে? দিলীপ ঘোষের কথায়, বাংলা ভাঙার কথা কে বলেছে? পাহাড়ে আন্দোলনের সঙ্গে তো যুক্ত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্বত্য পরিষদের চুক্তিতে গোর্খাল্যান্ডের দাবি ছিল, তা বাঁচিয়ে রেখেই সই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি এটা কোনওদিন করেনি।

এদিন শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসকেও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ বাবু। তিনি বলেছেন, ভোটের আগেও এমন কথা হাজার বার শুনেছি। যতক্ষণ না হচ্ছে কোনও বিশ্বাস নেই। একদিকে সরকার বলছে টাকা নেই, তাহলে এই ৩০ হাজার শিক্ষককে কীভাবে বেতন দেবে? মানুষ চাকরি না থাকায় পশ্চিমে গুজরাত মহারাষ্ট্রে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত লোক আর কিছু বুড়ো বাংলার উন্নয়ন করতে পারবেন? দশ বছর হয়ে গেল, এবার তো মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কিছু কাজ করুন।

নন্দীগ্রাম মামলা প্রসঙ্গেও এদিন সরকারকে এক হাত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ঠিক করবেন মামলার বিচারপতি কে হবেন? যে দলের আদালতের উপর বিশ্বাস নেই তাদের তো রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া উচিত। ছোটোলোক আর নিম্নরুচির মানুষ বলেই এমন কাজ করতে পারছে।

You might also like