
ওইদিন সকালে বিএসএফের হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দেবেন রাজ্যপাল। শীতলকুচির পাশাপাশি তিনি কোচবিহারের অন্যত্রও যাবেন। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের কথা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন ধনকড়।
ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এইচ এস দ্বিবেদীর কাছে রিপোর্ট চেয়ে না পাওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তা ছাড়া বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজভবনের কাছে রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। হতে পারে নর্থ ব্লককে সেই রিপোর্ট পাঠানোর আগে নিজে সশরীরে আক্রান্ত এলাকায় যেতে চাইছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
ভোটের সময় থেকেই শীতলকুচি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। গত ১০ এপ্রিল নির্বাচনের দিন শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়। ভোট মেটার পরেও হিংসা অব্যাহত। তা ছাড়া কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ, সিতাই, দিনহাটার মতো জায়গা থেকেও ধারাবাহিক রাজনৈতিক সংঘর্ষের খবর আসছে।
গতকালও রাজ্যপাল বলেছিলেন, তাঁর কাছে পৃথিবীর বিভিন জায়গা থেকে প্রবাসী ভারতীয়রা ফোন করে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। বিজেপি-ও এ নিয়ে সরব। গতকাল পরিষদীয় দলের বৈঠকে বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীও বলেছিলেন, “গোটা রাজ্যজুড়ে প্রান্তিক আদিবাসী, দলিত, পিছিয়ে পড়া মানুষের সর্বস্ব লুঠ হচ্ছে। অবর্ণনীয় হিংসা চলছে বাংলায়।”
যদিও একটি মামলার শুনানিতে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ হিংসা থামাতে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার তারিফ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় টিম পাঠানোর সমালোচনা করে বলেছেন, “এদের লজ্জা নেই! এইরকম ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রির পর কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে দিয়েছে। তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে অশান্তি পাকাচ্ছে।” এসবের মধ্যেই পরশুদিন কোচবিহার যাচ্ছেন রাজ্যপাল।