
এ দেশেরই অন্য এক রাজ্য গুজরাতের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, সে রাজ্যে এ যাবৎ মোট করোনা সংক্রামিত হয়েছেন ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫০০ জন। তাঁদের মধ্যে অ্যাকটিভ রোগী ১৬ হাজার ৪০৭ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৩ হাজার ৮৮৩ জন, মারা গেছেন ৩২১০ জন।
পাশাপাশি, গুজরাতে মোট টেস্টের সংখ্যা ৩২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫৪৪। এ রাজ্যে সংক্রমণ বেশি হলেও, এখনও পর্যন্ত মোট টেস্ট হয়েছে ২৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৯৫। জনসংখ্যার বিচার করলে, পশ্চিমবঙ্গে যেখানে ৯.৯ কোটি মানুষের বাস, গুজরাতে থাকেন ৬.৭ কোটি মানুষ। কম জনঘনত্বেও বেশি সংখ্যক টেস্ট হচ্ছে সে রাজ্যে।
পাশাপাশি, দিল্লিতে এযাবৎ করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৩৪০ জন। রাজধানীতে এই মুহূর্তে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৮১২। মোট সেরে উঠেছেন ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৮৪ জন। মারা গিয়েছেন ৪৭৪৪ জন। ২ কোটি জনসংখ্যার রাজধানী শহরে এই সংখ্যা যথেষ্টই বেশি। এ যাবৎ সেখানে টেস্ট হয়েছে ৪৯ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৪৭।
বাংলার জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের দিকে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা করোনার হটবেড। এই দুই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৫৫৯ এবং ৫৫৩ জন। তার পরেই আছে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলি, ২৬৩ এবং ২৬১। কলকাতায় মারা গেছেন ১৬ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১০ জন। সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গতি গতকালই কমেছিল হাওড়ায়, আজ তা আরও কমে হয়েছে ১৪৫।