
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নোটিস প্রকাশ করা হয়েছিল, কোভিড টেস্টের খরচ ২২৫০ টাকা থেকে কমে ১২০১ টাকা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই সেই নোটিস বাতিল করে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। এর কারণ কী, তা স্পষ্ট হয়নি। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এই ঘোষণা করেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড টেস্টের রেট প্রায় অর্ধেক করে দিল রাজ্য
গত মাসের ২৮ তারিখে HM/0/MERT/923/SS(ME)/38/2020 নম্বরের একটি নোটিস প্রকাশিত হয় রাজ্য সরকারের তরফে। তাতে দেখা যায়, আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড টেস্টের খরচ কমিয়ে ২২৫০ থেকে প্রায় অর্ধেক করে ১২০১ টাকায় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এর পরেই ১ অক্টোবর সন্ধেয় আবারও নোটিস (HM/0/MERT/SPSRC/121/SS(ME)/38/2020) দিয়ে জানানো হল, আগের টাকা কমানোর নোটিসটি আপাতত বাতিল।
এর আগে, জুন মাসের ২৬ তারিখে কোভিড চিকিৎসা জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগীর থেকে কত টাকা নেবে, সেই অঙ্ক বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কোভিড টেস্ট বাবদ ২২৫০ টাকার বেশি কোনও রোগীর থেকে নেওয়া যাবে না। বাকি খরচও কোন খাতে কত হবে, তা উল্লেখ করে দিয়েছিলেন। জুন মাসে ২২৫০ টাকা রেট ঘোষণার আগে পর্যন্ত এই রেট ছিল ৪৫০০ টাকা। এর পরে গত মাসের শেষে আবারও কমিয়ে ১২০১ টাকা করা হলেও, সরকারি নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পরেও ১ অক্টোবর ফের তা সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোভিড টেস্টের রেট কমছে না, নোটিস দিয়েও বাতিল করল স্বাস্থ্য দফতর
শেষমেশ আজ, সোমবার রেট কমল কোভিড টেস্টের। এই ঘোষণার পাশাপাশি এদিন নবান্নে আরও জানানো হয়, কোভিড বেড বাড়ানো হচ্ছে রাজ্যে। মোট ৬০০ বেড বাড়ানো হবে, আইসিইউ পরিষেবা সহ। সেই সঙ্গে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের রেট বেঁধে দেওয়ার ব্যাপারেও চলছে চিন্তা ভাবনা। এবিষয়ে রেগুলেটরি কমিশনের কাছে অনুরোধও করা হয়েছে সরকারের তরফে। এছাড়াও পাড়ার স্থানীয় ডাক্তারদের ক্ষেত্রে ক্রিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট অ্যাক্টের বাইরেও যাতে তাঁরা স্বাধীন ভাবে চিকিৎসা দিতে পারেন, সে রকম কোনও নিয়ম করারও চিন্তা চলছে।
পাশাপাশি, এদিন ঘোষণা করা হয়, রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতাল ২৪৭৫ জন নার্স নিয়োগ হবে। সেই সঙ্গে বাতিল করা হয় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সকলের পুজোর ছুটি। পরে এই ছুটির ক্ষতিপূরণ করা হবে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, নবান্নেও ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। জরুরি হেল্পলাইন নম্বর হল ১০৭০ (৩টি এক্সটেনশন), ২২১৪৩৫২৬ (৫টা এক্সটেনশন), ১৮০০৩১৩৪৪৪২২২।