
কলকাতার পুর কমিশনার ছিলেন খলিল আহমেদ। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় পুর কমিশনার করা হয়েছে আইএএস বিনোদ কুমারকে। শুক্রবার সন্ধেবেলা কলকাতার পুর কমিশনার বদলের নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন।
তছনছ হয়ে গিয়েছে কলকাতা। শুক্রবার বিকেলেই পুরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অন্তত সাতদিন সময় লাগবে মহানগরের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে। অনেকের মতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেই কমিশনার বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
আয়লা, ফণী, বুলবুলের সময়েও এই রকম বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়নি কলকাতাকে। উমফান আসার আগেই আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, নজিরবিহীন তাণ্ডবলীলা চলবে। তাই হয়েছে। শহর জুড়ে অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার গাছ পড়ে গিয়েছে প্রবল ঝড়ে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত খবর, এখনও বেশিরভাগ জায়গায় তা সরানো যায়নি। বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ ও টেলিযোগাযোগ। ইন্টারনেট পরিষেবাও ভেঙে পড়েছে। উত্তরের কাশীপুর, বেলগাছিয়া, পাইকপাড়া, শ্যামবাজার, হাতিবাগান থেকে দক্ষিণের টালিগঞ্জ, গলফগ্রিন, বাঁশদ্রোনী– সর্বত্রই এক ছবি। পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়েছে বিস্তীর্ণ অংশে। ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে রোগীরা। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নাগরিক বিক্ষোভ দেখা যায়। কোথাও কোথাও জল, বিদ্যুতের দাবিতে অবরোধও করেন স্থানীয়রা। পর্যবেক্ষকদের মতে, মহানগরের পুর প্রশাসনকে আরও গতিতে কাজ করানোর লক্ষ্যেই কমিশনার বদল করল নবান্ন।