
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তুফানগঞ্জে তুলকালাম। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটল কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ফুলমারী এলাকায়। শুক্রবার রাত পর্যন্ত খবর, এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। তাঁর নাম কাশিম আলি শেখ (৫৫)। জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অন্তত ১৫ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী।
গুরুতর জখম অনেককে পাঠানো হয়েছে আলিপুর দুয়ার হাসপাতালে। তাঁদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি ধনেশ্বর বর্মন বনাম ওই এলাকার নেতা গোকুল সাহার গোষ্ঠীর বিবাদ অনেকদিনের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার বিকেল থেকে তা রণক্ষেত্রের আকার নেয়।
এক গোষ্ঠীর জমায়েত দেখে পাল্টা লোক জড়ো করতে থাকে অন্য গোষ্ঠী। তির ধনুক লাঠি বাঁশ, তুফানগঞ্জের ফুলমারী এলাকা বিকেল থেকেই যেন যুদ্ধক্ষেত্র। বেশ কিছু এলাকায় বাড়িঘর ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলেও খবর। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। রাতে নতুন করে কোনও গণ্ডগোলের ঘটনা না ঘটলেও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
কোচবিহারের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন ঘটনা নয়। নিশীথ প্রামাণিক, মিহির গোস্বামীরা যখন বিজেপিতে আসেননি, যখন তাঁরা তৃণমূলের নেতা, তখন রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে তাঁদের লড়াই ছিল সুবিদিত। অনেকে বলেন, কোচবিহারে তৃণমূলের যতজন নেতা আছেন, প্রত্যেকের একটা করে গোষ্ঠী আছে। তাঁরা এমনই যাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেও সোজা করতে পারেননি। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারের তৃণমূল হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের কাছেই ত্রাস। মাদার বনাম যুব-র কোন্দলে সেই সময় রোজ হানাহানির ঘটনা ঘটত। নিশীথ প্রামাণিক তখন যুব তৃণমূলের শেষ কথা। সেই নিশীথ মিহিররা বিজেপিতে চলে গেলেও কোচবিহারের তৃণমূল আছে পুরনো জায়গাতেই। শুক্রবার আবার তা প্রমাণ হল।