
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। তাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য রাজীব জৈন বাদে থাকবেন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন আতিফ রশিদ, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল সন্তোষ মেহরা, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার পাঁজা, পশ্চিমবঙ্গ লিগাল সার্ভিস অথরিটির সম্পাদক রাজু মুখার্জি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিআইজি (তদন্ত) মঞ্জিল সাইনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে এবং আগামী দিনে যে অভিযোগগুলি জমা পড়বে, সে সবই কমিটি খতিয়ে দেখবে। পশ্চিমবঙ্গ লিগাল সারভিস অথরিটিতে এখনও পর্যন্ত যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে ও আগামী দিনে জমা পড়বে, তাও খতিয়ে দেখবে কমিটি।
কমিটির সদস্যরা হিংসাকবলিত এলাকাগুলিতে যাবেন। সেখানে কী অবস্থা রয়েছে, মানুষ যাতে শান্তিতে বাড়িতে বাস করতে পারেন এবং পেশাগত কাজকর্ম করতে পারেন, সেজন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা হাইকোর্টে জানাবেন।
কমিটি হিংসার জন্য দায়ী লোকজনকে চিহ্নিত করবে। যে সরকারি অফিসাররা হিংসার সময় নিষ্ক্রিয় থেকেছেন, তাঁদেরও চিহ্নিত করা হবে।
বিজ্ঞপ্তির শেষে বলা হয়েছে, দ্রুত কাজ শুরু করবে কমিটি। পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যেভাবে ‘নিষ্ক্রিয়’ অফিসারদের চিহ্নিত করার কথা বলেছে, তাতে আরও স্পষ্ট বোঝা যায়, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামছে কেন্দ্র।