
ওই তরুণীর স্বামী কেরালায় কাজ করেন। পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, এদিন ভোররাতে তরুণীর মোবাইলে একটি ফোন আসে। ঘরের মধ্যে ফোনে নেটওয়ার্ক ঠিকমতো না পাওয়ায় বাড়ির বাইরে বেরোন তিনি। পরে তরুণীর মা ও বোন ঘুম থেকে উঠে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ শুরু করে। কিছু পরে দেখা যায়, বাড়ির পাশেই আম বাগানের ভিতরে তাঁর গায়ের চাদরটি পড়ে আছে। এর পরে খোঁজাখুঁজি করে দেখা যায় জঙ্গলের মধ্যে তাঁর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে!
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে দৌলতবাদ থানার পুলিশ। দেহ নিয়ে আসা হয় বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় দেহ। মৃতার বোন জানান, বিয়ের আগে তাঁর দিদির সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। এর আগেও ওই যুবক তাঁর দিদিকে বিরক্ত করেছে। প্রতিহিংসার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তাঁর। মৃতার মা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের শাস্তি চান তিনি।
গ্রামবাসীরা বলছেন, গত বছর তরুণীর বাবা মারা যাওয়ার পরে মাস ছয়েক আগেই গ্রামের বাসিন্দারা চাঁদা তুলে নিজেদের উদ্যোগে তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দেন কাজীপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে। স্বামী কেরালায় কাজ করেন। বেশ ক’দিন ধরে তরুণী মায়ের বাড়িতেই ছিলেন। আচমকা কী এমন ঘটনা ঘটল? কেনই বা তরুণীকে খুন করা হল ধোঁয়াশায় সকলেই।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ঘটনায় গ্রাম জুড়ে হইহই পড়ে যায়। এলাকাবাসীরাও হতবাক। থমথমে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। তবে প্রেমে প্রত্যাখ্যানের কারণেই কি এমন ঘটেছে, তা নিয়ে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি।