
কিছুদিন আগে হাইকোর্টে লালার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ওঠা জনস্বার্থ মামলা খারিজ হয়ে গেছে। বাঁকুড়ার মেজিয়ায় বেআইনি কয়লাখনি নিয়ে লালার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন কালিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। পিটিশনে লেখা হয়েছিল, মেডিয়ার বেআইনি কয়লাখনিতে পাচারকাণ্ডে জড়িত ছিল লালা। কিন্তু মামলার বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ না থাকায় তা খারিজ হয়ে যায়।
বাঁকুড়ার বেআইনি কয়লাখনির বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের পাশাপাশি সিআইডি-ও তদন্ত শুরু করেছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে সিআইডির ডিআইজি অজয় ঠাকুরের নেতৃত্বে একটি টিম দুর্গাপুর-আসানসোলের যে সমস্ত জায়গায় অবৈধ ভাবে কয়লা তোলা হচ্ছিল যে সব জায়গায় যায় তদন্তের জন্য। মাস খানেক পরে লালা ঘনিষ্ঠ রণধীর সিংকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া থানার আইসি অশোক মিশ্রকে কয়লা কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁকে দিল্লিতে জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জেরার মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এই অশোক মিশ্র আবার যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রর আত্মীয়। বিনয়ও কয়লা পাচারে অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁকেও হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্র ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। তা ছাড়া বিনয়ের বাড়ি, ফ্ল্যাট সিল করে দিয়েছে তদন্ত এজেন্সি।