
এর পরে, আজ বৃহস্পতিবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, এ রাজ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিডের আরটি পিসিআর টেস্ট করা হবে ৯৫০ টাকায়। এত দিন এই টেস্টের খরচ ছিল ১৫০০ টাকা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে টেস্টিং নিয়ে বরাবরই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার যা জনঘনত্ব, তাতে টেস্ট অনেক কম হচ্ছে বলে দাবি করেছেন চিকিতসকরাও। প্রথম থেকে যেখানে আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলে এসেছেন কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার টেস্টিং টেস্টিং অ্যান্ড টেস্টিং, সেখানে এ রাজ্য টেস্টিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
এর পরে টেস্টিংয়ের সংখ্যা বেশ বাড়লেও, টেস্টিংয়ের খরচ নিয়ে বারবারই নানা বিভ্রান্তি হয়। জুন মাসের ২৬ তারিখে কোভিড চিকিৎসা জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগীর থেকে কত টাকা নেবে, সেই অঙ্ক বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কোভিড টেস্ট বাবদ ২২৫০ টাকার বেশি কোনও রোগীর থেকে নেওয়া যাবে না।
এর পরে অক্টোবর মাসের গোড়ায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নোটিস প্রকাশ করা হয়েছিল, কোভিড টেস্টের খরচ ২২৫০ টাকা থেকে কমে ১২০১ টাকা করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরেই সেই নোটিস বাতিল করে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। এর কারণ কী, তা স্পষ্ট হয়নি। এর পরে ১২ অক্টোবর ঘোষণা হয়, রাজ্যে কোভিড টেস্টের খরচ ২২৫০ টাকা থেকে কমে হচ্ছে ১৫০০ টাকা।
শেষমেশ আজ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, আরও কমল কোভিড টেস্টের খরচ। ৯৫০ টাকায় বেসরকারি ল্যাব থেকে কোভিড পরীক্ষার আরটি পিসিআর টেস্ট করতে পারবেন রাজ্যবাসী।